আগামী মঙ্গলবার কি উত্তপ্ত হতে চলেছে বিধানসভার🙈 বাজেট অধিবেশন? এই প্রশ্ন উঠছে - কারণ - ওই দিনই বিধানসভায় ভাষণ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। উলটো দিকে, ওই একই দিনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও বক্তৃতা দিতে দেখা যেতে পারে। ফলত, সেদিন বিধানসভার সদস্যগণ তথা রাজ্যবাসী এক দ্বৈরথের সাক্ষী থাকতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। তারপর বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার✨্য। কিন্তু, এরপরই চারদিনের জন্য বিধানসভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
সেই সময়িক বিরতির সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) থেকে ফের বাজেট অধিবেশনের কার্যাবলী শুরু হবে। তথ্য বলছে, সোম ও মঙ্গলবার রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিধানসভায় আলোচনা করা হবে। এবং তার পরের দুই দিন - আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার ☂রা𒅌জ্য বাজেট নিয়েই বিশদে আলোচনা হবে।
এরই মধ্য়ে তৃণমূল পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 💟বিধানসভায় ভাষণ দেবেন। তার জন্য ৫০ মিনিট সময় চাওয়া হয়েছে। খুব সম্ভবত, তাঁর এই দীর্ঘ ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাজ্যের সাফল্য়ের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করবেন।
অন্যদিকে, রাজ্যপালের ভাষণের পর থেকে বিজেপি সুর চড়াতে শুরু করেছে। 💟তাদের অভিযোগ, এবারের বাজেট অধিবেশনের সূচনা পর্বে রাজ্যপালের ভাষণ ছিল অন্তঃসারশূন্য। তাতে রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়নি। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে জলঘোলাও শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, যদি মঙ্গলবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় ভাষণ দেন, তাহলে উপরোক্ত বিষয়টি তাঁর বক্তৃতায় থাকতে পারে। একইসঙ্গে, বিভিন্ন বিষয়ে 'রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা'ও তুলে ধরতে পারেন শুভেন্দু। এই প্রেক্ষাপটে ♕আগামী রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন উত্তাল ও উত্তপ্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আর তেমনটা যদি ঘটꩵে, তাহলে রাজ্য সরকারের পক্ষে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ব্যাট ধরবেন বলে মনে করা হচ্ছে। উলটো দিকে শুভেন্দু অধিকারীও তার জবাব দিতে সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামবেন বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।
এই প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে আগামী মঙ্গলবার দিনটি রাজ্য বিধানসভার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই, ওই দিন বিধানসভ🦩ার অধিবেশন চলাকালীন সেদিকেই নজর থাকবে রাজনীতির কারবারিদের।