জামিন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সন্দেশখালির একদা 'বেতাজ বাদশাহ' শেখ শাহজাহান। তার জন্য এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সূত্রের দাবি, সেই জামিন মামলার শুনানি আগামী সপ্তাহেই হতে পারে। আরও একটি সূত্রের দাবি, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিন - অর্থাৎ - আগামিকালও (সোমবার) এই মামলার ♌শুনানি হতে পারে। তবে, এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে বা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা বিভিন্ন তথ্যে দাবি করা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধেꦉ সিবিআই-এর যে মামলা চলছে সেই ম🧔ামলাতেই এবার জামিন পেতে চাইছেন শাহজাহান। এর আগে নির্দিষ্টভাবে এই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন শেখ শাহজাহানের আইনজীবী। কিন্তু, সেই আবেদন আদালত মঞ্জুর করেনি। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জ🎉ানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে এ নিয়ে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। খুব সম্ভবত, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মা🎐মলার শুনানি হতে পারে।
শাহজাহান শেখকে নিয়ে ঘটনার ঘনঘটা শুরু হয় প্রায় বছর খানেক আগে। দিনটি ছিল, ২০২৪ সালে ৫ জানুয়ারি। রেশন দুর্নীতির তদন্তে নꦅেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা - ইডি - যারা মূলত আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করে, সেই সংস্থার প্রতিনিধিরা এক্কেবারে সকাল সকাল পৌঁছে যান সন্দেশখালি। উদ্দেশ্য ছিল, শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স🔯ঙ্গে কথা বলা এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা।
কিন্তু, সেদিন শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকতে পার꧋েনি ইডি আধিকারিকরা। উপরন্তু, শℱাহজাহানের দু'টি মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন করেও বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ, লাগাতার তাঁর ফোন 'ব্যস্ত' থেকেছে। শেষমেশ একটি নম্বরে শাহজাহানের সঙ্গে ইডি প্রতিনিধির ক্ষণিকের কথা হলেও ইডি তাঁর নাগাল পায়নি। বদলে শাহজাহানের বাড়ির সামনে কাতারে কাতারে জড়ো হয়ে যান তাঁর অনুগামীরা।
পরবর্তীতে এই শাহজাহান অনুগামীদের হাতে তীব্র হেনস্থার শিকার হতে হয় 🍸ইডি আধিকারিকদের। কার্যত প্রাণ হাতে করে সন্দেশখালি থেকে ফিরতে হয় তাঁদের। অন্যদ♔িকে, বেপাত্তা হয়ে যান শাহজাহান নিজে।
সেই ঘটনার ৫৫ দিনের ম𒁃াথায় অবশেষে গ্রেফতার হন শাহজাহান। তাও রাজ্য় পুলিশের হাতে। দিনটি ছিল ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু করে পুলিশ। কিন্তু, সেই মামলায় আগেই তাঁকে জামিন দিয়েছে বসিরহাট আদালত।
ইতিমধ্যে, রেশন দুর্ন🌟ীতি মামলায় সিবিআই-ও তদন্ত শুরু করে। তারাও গ্রেফতার করে শেখ শা🤡হজাহানকে। আপাতত সেই মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। সেই বন্দিদশা কাটাতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শেখ শাহজাহান।