স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী পরিষেবা পান বাংলার মানুষজন। আর তা নিয়ে কোনও অনিয়ম বরদাস্ত করবে না ꦏরাজ্য সরকার। তাই এবার নিয়ম আরও কড়া হচ্ছে। আমজনতাকে সুবিধা দিতেই এই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতাল নꦓার্সিংহোমগুলিকে বসাতে হবে ডিসপ্লে বোর্ড। এমনই নির্দেশ জারি করছে রাজ্য সরকার। তাহলেই রোগীরা দেখতে পাবেন হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য ক’টি বেড আছে। এমনকী ওই ডিসপ্লে বোর্ড আপডেট করতে হবে। রোগী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি হলে বেড সংখ্যা আপডেট করতে হবে। আর রোগীদের জানাতে হবে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে কী কী পরিষেবা মিলবে। রাজ্য সরকার বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করছে।
রোগীর পরিবারদের পক্ষ থেকে অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও অনেক পরিষেবা মেলে না। বেসরকারি হাসপাতাল–নার্সিংহোম নানারকম⭕ যুক্তি দেখায়। ভর্তি নেওয়া✨ হয় না রোগীকে। তাতে দুটি সমস্যা দেখা দেয়। এক, চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মারা যান পথেই। দুই, ঘরবাড়ি বিক্রি করে চিকিৎসা করিয়ে সর্বসান্ত হন রোগীর পরিবার। এবার এই সমস্যা মেটাতে কঠোর হচ্ছে রাজ্য সরকার। বেসরকারি হাসপাতালে ডিসপ্লে বোর্ড থাকলেই রোগীরা বুঝতে পারবেন বেডের অবস্থা। ২০১৭ সালে এরকম একটি নির্দেশিকা প্রত্যেক বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তা কেউ মানেনি। তাই এবার কড়া পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে টোটো চালিয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে রওনা বৃদ্ধের, পথে ভাগ্য বদল
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর যখন সব সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা লাটে উঠেছিল তখন বেসরকারি হাসপাতালে গরিব মানুষ চিকিৎসা করিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেই। তখন অনেক সরকারি চিকিৎসকই মোটা টাকার বিনিময়ে বেসরকারি হাসপাতাল–নার্সিংহোমে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনদরদী প্রকল্পকে সামনে রেখে দেদার মুনাফা করেছেন বেসারকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকরা। তবে রোগীরা চিকিৎসা পেয়ে ছি🅘লেন। অথচ স্বাভাবিক সময়ে এই পরিষেবা মেলেনি। এটাই ধরে ফেলে নবান্ন। তারপর এখন এই মৌরসিপাট্টা ভাঙতে উদ্যোগী হতে চলেছে।