পুলিশকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্য়াকাউন্ট সম্পর্কে জানতে চেয়েছে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট। এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সঙ্গেই তিনি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শুভেন্দু লিখেছেন, মমতা পুলিশ তাদের নিজেদের পুলিশকর্মীদের উপরেই আড়ি পাতার চেষ্টা করছে। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই য💙ে পুলিশ ফোর্সকে কিছু শৃঙ্খলা, নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে তাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও তাঁদের জানাতে হবে।
তিনি লিখেছেন, এই মেমো হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট থেকে জারি করা হয়েছে। সমস্ত পুলিশ কর𒁏্মীদের কাছ থেকে সোস্য়াল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। এটা কেবলমাত্র বিভাগীয় স্বৈরাচারিতা নয়, এ✤টা সাংবিধানিক অধিকারও ভঙ্গ করছে।
শুভেন্দু লিখেছেন, পুলিশ তাদের ব্যক্তিগত সময়ে কী করছেন এটা পুলিশ বিভাগের দেখার কথা নয়। সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করা এটা বাক স্বাধীনতার একটা রূপ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসাবে আমি পরামর্শ দেব এমন অসাংবিধানিক নির্দেশকে মানবেন না। কেউ না মানলে যদি শাস্তির মুখে পড়তে হয় তবে আমি আইনি সহায়তা দেব। আপনি আমায় মেল করতে 💃পারেন। এরপর নিজের মেল আইডি দিয়েছেন শুভেন্দু।
সেই সঙ্গেই সেই মেমোর একটি কপিও দিয়েছেন তিনি। এℱদিকে শুভেন্দুর এই পোস্টের উত্তরে নানা জনে নানা মতামত দিয়েছেন। একজন লিখেছেন, এই ধরনের নির্দেশ দিতে পারেন না। চাকরির শর্তে কী এমন কিছু ছিল?
অপর একজন লিখেছেন, মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে। এবার তো পুলিশকর্মীদের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে দেবে। তারা কী করছে🥂ন সব দেখবেন। অপর একজন লিখেছেন, কী ট্রেনিং পেয়েছেন অমিত মালব্যের কাছ থেকে। যখনই কোনও পোস্ট করেন তখনই অর্ধেকটা জানান। পুরো নির্দেশের কপিটা দেন না। কারণ আপনারা ভাবেন যে পাবলিক খুব বোকা।
এদিকে এই নির্দেশকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুভেন্দুর পোস্ট করা ওಞই নির্দেশে দেখা গিয়েছে, হাওড়ার পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ মোতাবেক সবাইকে বলা হচ্ছে সোশ্য়াল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ডিটেলস নির্দিষ্ট ইউনিটের কাছে জমা দিন। ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্য়ে সেই নির্দেশ জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে একাধিক সুরক্ষা এজেন্সি নানা ধরনের ব🍌িধিনিষেধ আরোপ করছে বর্তমানে। মূলত সুরক্ষার জ𒐪ন্যই এটা করা হয়ে থাকে।