টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ফোঁস' মন্তব্য থেকে 'এফআইআর' মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এরই মাঝে গতকাল এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নিজের 'অবস্থান' স্পষ্ট করে দিয়ে মমতা দাবি করেন, তিনি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কোনও হুমকি দেননি। বরং তিনি তাঁদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন আন্দোলনকারী মেডিক্যাল পড়ুয়া এবং জুনিয়র চিকিৎসকরা। (আরও পড়ুন: 𝄹বড় পদক্ষেপ ইডির, রোজভ্যালিতে রাখা কয়েক কোটি টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা)
আরও পড়ুন: 𒁃আরজি কর কাণ্ডে 'প্রতিবাদী মুখ' নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত নেতারা, অস্বস্তিতে সিপিএম
💞 এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আমরা যদি এফআইআর করি বা কোনও আইনি ব্যবস্থা নিই, তা হলে আপনাদের কেরিয়ারটা নষ্ট হয়ে যাবে।' তাঁর এহেন মন্তব্যকে 'হুঁশিয়ারি' হিসেবে দেখছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে তারপরও তাঁরা জানিয়েছিলেন, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এই আবহে গতকাল মমতা আবার নিজের মন্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা দেন। আর মমতার সেই ব্যাখ্যার পর আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যাতে আমরা আমল দিচ্ছি না। আমাদের বিচার চাই।' পাশাপাশি তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও দাবি করেছেন। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করা এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারর অপসারণের দাবিতেও তাঁরা অনড় আছেন বলে জানান চিকিৎসকরা।
🌟 এর আগে গত ২৮ অগস্ট রামকৃষ্ণদেবের একটি গল্প তুলে ধরে সমর্থকদের উদ্দেশে মমতা বলেছিলেন, 'আমাকে অনেক গালাগাল দিয়েছে, অসম্মান করেছে। বলেছিলাম বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু আজ বলছি যেটা করার দরকার, সেটা আপনারা ভালো বুঝে করবেন। আমি অশান্তি চাই না। যে আপনাকে রোজ কামড়াচ্ছে, তাকে কামড়াবেন না, কিন্তু ফোঁস তো করতে পারতে পারেন।' আবার চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, 'আমরা কিন্তু ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিইনি। কারণ, ওরা বন্ধুর জন্য আন্দোলন করছে। দিল্লিতে কিন্তু ওরা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে দিয়েছিল। যে কারণে সুপ্রিম কোর্টকে বলে দিতে হয়েছে, ডাক্তারেরা কাজে ফিরলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি আমার সমর্থন আছে। কিন্তু আপনাদের একটু মানবিক হওয়ারও আবেদন করব। সুপ্রিম কোর্টও আপনাদের অনুরোধ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলোকে ক্ষমতা দিয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেব না। আপনাদের ক্ষোভ আছে। অভিমান আছে। আমি সেটা বুঝি। কিন্তু এ বার আস্তে আস্তে কাজে যোগদান করুন। আমরা চাই না, কারও সারা জীবনটা নষ্ট হোক। আমরা যদি এফআইআর করি বা কোনও আইনি ব্যবস্থা নিই, তা হলে আপনাদের কেরিয়ারটা নষ্ট হয়ে যাবে। ভিসা, পাসপোর্টে অসুবিধা হয়ে যাবে। আমি তা চাই না। আমাদের সরকার মানবিক। আমি চাই আরও ভালো ভালো ডাক্তার তৈরি করতে।'