সাধারণত চিকিৎসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে প্রতিদিন বহু সংখ্যক মানুষ হাওড়া থেকে চেন্নাই গামী ট্রেনে যাত্রা করেন। দেড় হাজার কিলোমিটারের এই দীর্ঘ রাস্তা পেরোতে সময় লেগে যায় ২৬ থেকে ২৮ ঘণ্টা। এই অবস্থায় হাওড়া–চেন্নাই ট্রেন রুটে যাত্রার সময় ক🔜িছুটা কমতে চলেছে। কারণ হায়দরাবাদ এবং কটক-ভিজিয়ানাগ্রাম রুটে দুটি মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রকল্পের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক। এরফলে বহু দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ কিছুটা কমবে। তারফলে সময়ও কিছুটা সাশ꧑্রয় হবে।
আরও পড়ুন: শিয়ালদা–বনগাঁ 🦂লোকাল থমকে গেল, রেললাইনে ধস নামল মছলন্দপুর স্টেশনে
প্রসঙ্গত, রেল মন্ত্রকের ঘোষণা অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৭টি মাল্টি ট্র্যাকিং প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হল চেন্নাই–হায়দরাবাদ রুটের গুন্টুর– বিবিনগর লাইন। এই রুটে মাল্টি ট্র্যাকিং প্রকল্প করা হবে। এই অংশে প্রকল্পের কাজের জন্য ,৩২৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করলে সে ক্ষেত্রে দূরপাল্লার ট্রেন গুলিকে ৭৬ কিলোমিটা𝐆র কম দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। ফলে স্বাভাবিকভাবে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা সময় কম লাগবে। সারা দেশের এই ৭টি প্রকল্পের জন্য মোট ৩২ হাজার ৫🔯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল মন্ত্রক। অন্যদিকে, কটক-ভিজিয়ানাগ্রাম রুটে ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে নতুন লাইন করা হবে। দুটি ধাপে এখানে এই প্রকল্পের কাজ হবে। এর পাশাপাশি খুরদা রোড থেকে ভিজিয়ানাগ্রাম পর্যন্ত ৩৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে ডাবলিংয়ের কাজ করা হবে। হাওড়া–চেন্নাইয়ের ক্ষেত্রে এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই অংশে আগে মালগাড়ি এবং যাত্রীবাহী ট্রেন একসঙ্গে চলতে অসুবিধা হত। তবে মাল্টি ট্র্যাকিংয়ের কাজ সম্পন্ন হলে༺ ট্রেন এবং মালগাড়ি একসঙ্গে চলতে কোনও অসুবিধা হবে না। শুধু তাই নয় ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে মালগাড়িতে সাশ্রয়ও বাড়বে। সব মিলিয়ে তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হবে সাশ্রয় হবে মালগাড়িতে।কলকাতা–চেন্নাই রুটের ট্রেন যাত্রীরা যে সুবিধা পাবেন সে কথা নিজেই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এর পাশাপাশি ♛যাত্রীদের সুবিধার্থে রেলস্টেশন গুলিতে জনঔষুধি কেন্দ্রের স্টল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। সম্প্রতি মন্ত্রকের তরফে সেকথা ঘোষণা করা হয়েছে। এরফলে যাত্রীদের সুবিধা হবে।