বুধবার সকালে আবার প্রকাশ্যে এলো কলকাতায় রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া। আর তা ঘিরে শুধু এলাকায় নয় গোটা শহরে চর্চা শুরু হলো। বৃদ্ধের পচাগলা দেহ আগলে বসে থাকতে দেখা গেল স্ত্রী ও মেয়েকে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগবাজার চক্ররেল সংলগ্ন এলাকায়। এখানে ক্ষীরোদ মঞ্জিল নামের বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধের পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম দ্বিগবিজয় বসু (৭০)। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে সেখানে ভিড় জমে যায়। পুলিশ ভিড় সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বাড়ি থেকে বৃদ্ধকে রোজ বেরোতে দেখা যেত। তিনি দোকানপাট থেকে বাজারঘাট সবই করতেন। কিন্তু কয়েকদিন তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। হয়তো শরীর খারাপ হয়েছে ভেবে প্রথমে স্থানীয়রা বিশেষ খোঁজ নেননি। কিন্তু তারপরও কেটে যায় বেশ কয়েকটা দিন। বাড়িতে দ্বিগবিজয়ের স্ত্রী এবং মেয়েরও দেখা মিলছিল না। তখনই সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।এদিকে সকাল থেকেই পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে বুঝতে পারেন, দ্বিগবিজয়ের বাড়ি থেকেই এই পচা গন্ধ ভেসে আসছে। তখন বিপদ বুঝতে পেরে কালবিলম্ব না করে বাগবাজার থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে দেখেন, বাড়ির ভেতর খাটের ওপর পড়ে রয়েছে দ্বিগবিজয়ের কঙ্কালসার দেহ। শরীরে পচন ধরেছে। পাশেই বসে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে।পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ দেখে মনে হচ্ছে একমাস হল এই বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন। আগেই দ্বিগবিজয়ের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাঁদের মাথার উপর আর কেউ নেই বলে এভাবে দেহ আগলে বসে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে। এমনকী পুলিশ দেহ উদ্ধারে গেলে স্ত্রী দাবি করে বসেন, ‘আমার স্বামী জীবিত।’ বহু চেষ্টা ও বোঝাবার পর পুলিশ দ্বিগবিজয়ের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।