রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শুক্রবার তল্লাশিতে গিয়ে শেখ শাহজাহানের সঙ্গে কথা হয়েছিল ED আধিকারিকদের। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে এমনই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির বিরুদ্ধে। ইডির তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ঘটনার সম⛄য় বাড়িতেই ছিল শেখ শাহজাহান। বাড়িতে বসেই ইডির ওপর হামলা চালাতে অনুগামীদের উসকানি দিয়েছিল সে।
ইডির তরফে অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, ৫ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সরবেড়িয়ায় শাহজাহান শেখের বাড়িতে পৌঁছে প্রথমে তাকে ফোন করেন ED-র এক আধিকারিক। শাহজাহান ফোন ধরলে ওই আধিকারিক তাকে জানান, রেশন দুর্নীতির তদন্তে তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে এসেছেন♑ ইডির আধিকারিকরা। একথা শুনেই ফোন কেটে দেয় শাহজাহান। এর পর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি ইডির আধিকারিকরা। শাহজাহানের যে ২টি💛 নম্বর ED-র কাছে ছিল তার একটির নম্বর বেজে যাচ্ছিল। অন্যটি ছিল ব্যস্ত। ইডির তরফে আরও জানানো হয়েছে, ২টি নম্বরের টাওয়াল লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিল শাহজাহান। বাড়িতেই বসেই লাগাতার অনুগামীদের ফোন করে ED-র ওপর হামলা চালাতে উসকানি দিয়েছে সে।
শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনে💃ক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক শ’ নারী - পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়। ওই হামলায় ED-র ৩ জন আধিকারিক আহত হয়েছেন। তাঁদের ১ জনের মাথায় ৬টা সেলাই পড়েছে। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
এই ঘটনার পর রাজ্যপালকে পদক্ষেপ করাতে আহ্বꦏান জানিয়ে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকরী। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে সাংবিধানিক কাঠামো ভ🍌েঙে পড়েছে বলে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেওয়া উচিত রাজ্যপালের।
এর পর জারি এক অডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, ‘যে ভয়াবহ ঘটনার খবর সন্দেশখালি থেকে পেয়েছি তা উদ্বেগজনক ও অগ্রহণযোগ্য। বর্বরতা ও তাণ্ডব বন্ধ করা গণতন্ত্রে যে কোনও সভ্য সরকারের দায়িত্ব। সরকার তার প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে 🔯অক্ষম হলে সংবিধান তার পথে চলবে। রাজ্যপাল হিসাবে এই ঘটনায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে আমি আমার সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার সংরক্ষিত রাখছি'।
রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, 'পেশিশক্তির প্রদর্শন ও কাগুজে বাঘদের দিয়ে কদমতাল করিয়ে বাংলার মানুষের কোনও উপকার হবে না। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডারাজ শুধু মুর্খের স্বর্গে কাজ করে। বাংলা কোনও বানানা রিপাবলিক নয়। সরকারের তাদের পদক্ষেপ করা উচিত। ভোটপূর্ব এই হিংসা নিশ্চিতভাবে অবিলম্বে অবসান হওয়া উচিত। এই হিংসার দায় শুধুমাত্র বর্তায় সরকারের ওপর। সরকারের উচিত চোখ মেলে ব🅰াস্তবকে দেখা এবং যথাযথ পদক্ষেপ করা। নইলে তাদের এর ফল ভোগার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত’।