দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতেই ডিভিসির ওপর খড়্গহস্ত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা𝓡 বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিভিসি জলে রাজ্যে বন্যা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তাদের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ‘ছিন্ন’ করেছে তাঁর সরকার। ডিভিসির ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব। এমনকী ‘যে সংস্থা জল ছেড়ে মানুষ মারে তেমন সংস্থা চাই না’ বলেও মন্তব্য ক🐬রেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক নির্দেশিকা। তাতে জল ছাড়ার আগে যে ডিভিসি রাজ্যকে সেকথা জানিয়েছিল তা স্পষ্ট হয়েছে। আর তার পরই মমতাকে চরম আক্রমণ শুরু করেছে বিজেপি। বুধবার সকালে রাজ্য সরকারের সেই নির্দেশিকা প্রকাশ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘আপনাকে আর কেউ বিশ্বাস করে না। করবে না।’
আরও পড়ুন - 'বাঁধ কেটে গ্রা🎃মে জল ঢুকিয়েছে TMC, বাঁধ মেরামতির ৪০ কোটি হজম করেছে তারা '
পড়তে থাকুন - বাড়ি ফিরে ফেলে যাওয়া চেয়ার💯ে বসে কেঁদে ভাসালেন অনুব্রত
এদিন সকালে সুকান্তবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘মা মাটি মিথ্যা
তার নাম মমতা।
ডিভিসি জল ছাড🦩়বে জেনে দক্ষিণবঙ্গের আটটি জেলাকে সতর্ক করে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে "পশ্চিমবঙ💛্গ সরকার" নবান্ন থেকে চিঠি পাঠায়। এখন বলছেন ম্যান মেড বন্যা!!!
কেন্দ্রীয় সরকারের নামে 🐽অপপ্রচার 🐈বন্ধ করুন। আপনাকে আর কেউ বিশ্বাস করে না। করবে না।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে আসা রাজ্য সরকারি মেমো থেকে জানꦦা গিয়েছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর নবান্নে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে রাজ্যের ৮টি জেলাকে সতর্ক করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফে ওই চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, দামোদর রিভার রেগুলেটরি কমিশন ও কেন্দ্রীয় নদী কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, দামোদর ও তার শাখানদীর ওপর বাঁধগুলিতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। আবহাওয়াজনিত কারণে বাঁধগুলি থেকে মোট ২.৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হতে পারে।
আরও পড়ুন - 🍌সরকারি প্রকল্পের ১২০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে, পুরপ্রধানকে সাস✱পেন্ড করল TMC
🙈ডিভিসির তরফে জানানো হয়েছে, ডিভিসির বাঁধগুলি থেকে জল ছাড়া হয়েছে তাতে এতগুলি জেলা প্লাবিত হওয়া সম্ভবই নয়। তাছাড়া এমন অনেক জেলা প্লাܫবিত হয়েছে যা দামোদর নদের অববাহিকাতেই অবস্থিত নয়। যেমন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল প্লাবিত হওয়ার সঙ্গে ডিভিসির জল ছাড়ার কোনও সম্পর্কই নেই। ঘাটালে বন্যা হয়েছে কংসাবতীর জলে। কংসাবতীর জল ছাড়া হয়েছে মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে। আর সেই জলাধার নিয়ন্ত্রণ করে রাজ্য সরকার। এছাড়া বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের একাংশে বন্যা হয়েছে ময়ূরাক্ষীর জলে। ময়ূরাক্ষী নদীতে জল ছাড়া হয়েছে মসানজোড় জলাধার থেকে। সেই জলাধারও নিয়ন্ত্রণ করে রাজ্য সরকার।