নভেম্বর মাস শেষ হতে আর দু’দিন বাকি। তারপরই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর। নানা কাজ এবং উৎসবের মধ♒্যে দিয়ে তা কাটিয়ে দিতে পারলেই নতুন বছর ২০২৫ সাল। আর এই সাল থেকেই আলুর দাম নিয়ে রাজ্যবাসীকে নাভিশ্বাস তুলতে হবে না। কারণ দাম কমে যাবে। এই বছর গোটাটাই আলুর দাম রয়েছে উর্দ্ধমুখী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়ে টাস্ক ফোর্সকে বাজারে নামালেও আলুর দাম এখনও কেজি প্রতি ৩৫ টাকা। ভিন রাজ্যে আলু রফতানি করা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হলেও দাম কমেনি আলুর। এই আব🐽হে আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ভিন রাজ্যের উপর আলু নিয়ে নির্ভরশীলতা কমানোর কথা বলেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্তের। সুফল বাংলার স্টলেও আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি দরে। টাস্ক ফোর্সের꧒ সদস্যরা আজও বাজারে গিয়ে হম্বিতম্বি করেছেন। কিন্তু লাভের লাভ ক🧜িছুই হয়নি। এই বিষয়ে আলু উৎপাদন ও স্বনির্ভর হওয়া নিয়ে বিধানসভায় কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আলু নিয়ে ভিন রাজ্যের উপর নির্ভরশীলতা আর নয়। এবার থেকে বাংলায় উৎপাদন করা হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু বীজ। ২০২৫ সাল থেকেই রাজ্যে উৎপাদন করা হবে ৫০ লক্ষ আলু বীজ। এভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে আলু উৎপাদনে স্বনির্ভরশীল হবে রাজ্য।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী, রাত পোহালেই আলিপুরে কর্তারা
আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় কৃষি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্টের উপর আলোচনার সময় প্রশ্নোত্তর পর্বে আলুর দাম বৃদ্ধির বিষয়টি ওঠে। আলু উৎপাদন করার ক্ষেত্রে বাংলা স্বনির্ভরশীল হলেও এখনও আলুর বীজের জন্য পঞ্জাবের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এই পরনির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ আলুর বীজ উৎপাদন করে নজির গড়তে চাইছে রাজ্য সরকার। তাহলেই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক বাংলায় আলুর বীজ 🃏উৎপাদন নিয়ে প্রশ্ন করেন কৃষিমন্ত্রীকে। ওই প্রশ্নের উত্তরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘আমরা সর্তকভাবে কৃত্রিম বীজ তৈরি করছি। আগামী বছর ৫০ লক্ষ আলুর বীজ আমরা উৎপাদন করব।’