নবান্নের তরফে মুখ্যসচিব 'শর্ত' দিয়েছিলেন অনশন তুলে নিয়ে যাতে জুনিয়র চিকিৎসকরাꦰ মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেন। তবে সেই শর্ত না মেনেই, অনশন না তুলে সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর কাণ্ড ঘিরে গত অগস্ট থেকেই আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বর্তমানে ধর্মতলায় চলছে অনশন আন্দোলন। এই পরিস্থিতি সোমবার বৈঠকে যোগ দেওয়ার বার্তা জানিয়ে মুখ্যসচিবকে ইমেল পাঠিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
উল্লেখ্য, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে যে ডাক্তাররা যাবেন, তা আগেই জানানো হয়েছিল। তবে কারা যাবেন, আর নবান্নের দেওয়া শর্ত মেনে তাঁরা অনশন তুলে, তারপর বৈঠকে যোগ দেবেন কি না তা নিয়ে হওয়ার কথা ছিল ডাক্তারদের মধ্যে বৈঠক। রবিবার, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারদের জেনারেল বডির বৈঠক হয়। তারপর বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইমেল মারফৎ জানানো হয় মুখ্যসচিবকে। জানানো হয়েছে, অনশন তোলা হবে কি না, তা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে🍰র পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, জেনারেল বডির বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন,'আমাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমাদের মনে হয়েছে, এতদিন পরেও ১০ দফা দাবি নিয়ে উনি হয়তো জানেন না, বা তাঁকে জানানো হয়নি।' তিনি বলেন, ‘তবে আমরা কি চাইছি, তা বিস্তারিতভাবে জানিয়েই মুখ্যসচিবকে ইমেল করেছি। প্রয়োজনে তা নিয়ে আমরা কাল কথা বলব।’ বৈঠকের বিষয়ে আশাবাদী জুনিয়র চিকিৎসকরা। দেবাশিস হালদার বলেন,'আমরা পূর্ব শর্ত ছাড়া বৈঠকে যোগඣ দিতে চাই। ꦦনির্দিষ্ট সময়ে আমাদের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন বৈঠকে। আমরা আশা করছি সদর্থক আলোচনা হবে।'
প্রশ্ন ওঠে, যদি সোমবারের আলোচনা থেকে সমাধান সূত্র কিছু না বের হয়, তাহলে চিকিৎসকরা কী করবেন? তার জবাবে জুনিয়র ডাক্তাররা বলছেন, তাহলে মঙ্গলবার থেকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা। এতে আগামীতে আন্দোলনের তীব্রতাও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে আন্দোলনকারীদের তরফে। প্রসঙ্গত, এর আগে, শনিবার ধর্মতলায় চিকিৎসকদের অনশনের ধর্নামঞ্চে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। তাঁদের মাধ্যমে ফোনে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথ🐻া বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন। তখনই সোমবার বিকেলে তাঁদের সেই সময় দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।