পুরুষ বন্ধুদের ঘরে নিয়ে গিয়ে জুনিয়র ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহ করাতেন 'দিদি'-🐲রা। সেটাই ছিল 'শায়েস্তা' করার 'উপায়'। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল কল্যাণীর কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালে। সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযোগ উঠেছে যে ফ্রেশার ছাত্রীদের 'শায়েস্তা' করতে নিজেদের পুরুষ বন্ধুদের হস্টেলে ডেকে নিয়ে যেতেন 'দিদি'-রা। যাঁরা 'দিদি'-দের কথা শুনতেন না, তাঁদেরও একই পরিণতি হল। পুরুষদের হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হত। আর তারপর যৌন নিগ্রহ করা হত জুনিয়রদের। পুরুষদের সামনে ‘অস্বস্তিকর’ পোশাক পরতে হত। সেই পোশাক পরেই ছাত্রদের সামনে 'দিদি'-রা জুনিয়র ছাত্রীদের ঘুরতে বাধ্য করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিন্তু সেই ঘটনা নিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি?
ওই রিপোর্෴ট অনুযায়ী, অভিযোগ উঠেছে যে 'দিদি'𒉰-রা এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খোলা যেত না। তোলা যেত না কোনও আওয়াজ। সেখানে দাঁড়িয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর তো কোনও প্রশ্নই ছিল না বলে দাবি করা হয়েছে।
'দিদি'-রা এত প্রভাবশালী হয়ে উঠলেন কীভাবে?
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযোগ উঠেছে, যে 'দিদি'-দের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের অনেকেই আবার ‘স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটি’-র সদস্য ছিলেন। য💎ে সংগঠন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রিত সংগঠন বলে দাবি করা হয়েছে। কয়েকজন 'দিদি'-র মাথার উপরে আবার এক ‘প্রভাবশালী দাদা’-রꦦ হাত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সবমিলিয়ে 'দিদি'-রা হাসপাতালে একেবারে নিজেদের রাজত্ব চালাতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জমা পড়েছে পেনড্রাইভ, আছে ভিডিয়ো ও ছবি
আর যে জেএনএম হাসপাতালে এমন🌃 অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি সেই হাসপাতালের ১১ জন ছাত্রী-সহ ৪০ জন পড়ুয়াকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে 'থ্রেট কালচার' চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যে অন্য পড়ুয়াদের ভয় দেখাতেন তাঁরা। তোলাবাজি করতেন। কথা না শুনলেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার ক্ষেত্রে অশান্তি করতেন। লাইব্রেরি ব্যবহার করতে দিতেন না। ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিতেন বলেও অভিযোগ উঠ𓆏েছে।
তারইমধ্যে সূত্র উদ্ধৃত করেওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত কলেজের ডিনের কাছে প্রায় ৩০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। সেইসঙ্গে জমা পড়েছে বিভিন্ন প্রমাণ। যে তালিকায় একটি ১৬ জিবির পেনড্রাইভও আছে। ওই পেনড্রাইভে বিভিন্ন ভিডিয়ো এব𒅌ং স্ক্রিনশট আছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।