ব্যবসা হলে তরকারি,
চাকরি হলে সরকারি!
করোনা লকডাউনের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল এই দুই লাইন। স্থায়ীত্ব, সা♎মাজিক স্বীকৃতি, ছুটির কথা মাথায় রেখে আজও সরকারি চাকরি সকলের চোখের মণি। তাছাড়া দেশের যে প্রান্তগুলিতে সেভাবে অন্য কোনও পেশার সুযোগ নেই, সেখানকার যুবসমাজে🌱র জন্য এটাই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার একমাত্র উপায়।
কিন্তু সরকারি চাকরির পরীক্ষা তো মুখের কথা নয়। এমনিতেই বিপুল সিলেবাসের গুঁতো আছে। তার উ🌠পর সামান্য কয়েক হাজার পদের জন্য লক্ষ লক্ষ প্রার্থী পরীক্ষা দেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার এই নিয়ে🅷 ২০-২২ বার সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছেন। ফলে প্রতিযোগিতা অকল্পনীয়। ভাল পরীক্ষা দিয়েও সামান্য কয়েকটা নম্বরের ফারাকে কেউ ছিটকে যেতে পারেন।
তা সত্ত্বেও সরকারি চাকরির জন্য ভিড় জমানো অব্যাহত। গত আট বছরে, ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত ২২.০৫ কোটি প্রার্থী বিভিন্ন সরকারি চাকরির ফর্ম ফিলআপ করেছেন। তার মধ্যে মাত্র ৭.২২ লক্ষ বা, ০.৩৩% বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারী দফতর✨ে চাকরি পেয়েছেন। বুধবার লোকসভায় এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র।
এক লিখিত উত্তরে, কর্মী ও পেনশন মন্ত্রকের এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং লোকসভাকে জানিয়েছেন, কোভিডের আগের বছর সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হয়েছিল। ২০১৯-২০ সালে ১.৪৭ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছিল। তারপর যদিও মহামারীর কারণে ন🐷িয়োগ প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হয়। যদিও সেটা যে গত ৮ বছরে সর্বনিম্ন ছিল, তা কিন্তু নয়।
২০১৮-১৯ সালে, মাত্র ৩৮,১০০টি নিয়োগ করেছিল কেন্দ্র। এদিকে꧃ করোনার সময়ে, ২০২০-২১ সালে ৭৮,৫৫৫ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তার পরের বছর, ২০২১-২২-এও কমেছে চাকরি। গত বছর ৩৮,৮৫০টি পদ পূরণ করেছে কেন্দ্র।
গত ৮ বছরে ৭.২২ লক্ষ নিয়োগ হলেও, এবার জেগে উঠছে কেন্দ্র। চলতি বছর 🎉১৪ জুন কেন্দ্র ঘোষণা করে যে আগামী ১৮ মাসে 'মিশন মোডে' ১০ লক্ষ লোক নিয়োগ করা🉐 হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে জানানো হয়।