চলছে ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ম্যাচ। তৃতীয় দিনে ৩ উইকেট নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতের হয়ে চতুর্থ ইনিংসে সর্বাধিক উইকেট নেওয়া বোলার হলেন তিনি। পিছনে ফেললেন অনিল কুম্বলেকে। প্রথম ইনিংসে এꦏকটিও উইকেট না পাওয়ার পর শেষ ইনিংসে জ্বলে ওঠেন অশ্বিন। তৃতীয় দিনের শেষে অশ্বিন ১৫ ওভার বল করে ৬৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। বর্তমানে অশ্বিন টেস্ট ক্রিকেটের শেষ ইনিংসে ৯৬ উইকেট নিয়ে চতুর্থ ইনিংসে সর্বাধিক উইকেট নেওয়া ভারতীয় বোলার। তিনি চতুর্থ ইনিংসে বল করে ৬ বꦗার ফাইফার নিয়েছেন, তাঁর বেস্ট বোলিং ফিগার ৭/৫৯। শনিবার ৩ উইকেট নিয়ে তিনি অনিল কুম্বলের চতুর্থ ইনিংসে ৯৪ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ভাঙলেন।
এদিন অশ্বিন কুম্বলের রেকর্ড ভাঙার পাশাপশি ছুঁয়ে ফেললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার কোর্টনি ওয়ালশের রে🅺কর্ড, টেস্টে ক্রিকেটে অষ্টম সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি। অশ্বিন এখনও পর্যন্ত ১০১টি টেস্ট ম্যাচে ৫১৯টি উইকেট নিয়েছেন, তাঁর বোলিং গড় ২৩.৭৮। মোট ৩৬ বার টেস্ট ক্রিকেটে ফাইফার নিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ওয়ালশ ১৯৮৪ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ১৩২টি টেস্ট খেলে ৫১৯টি উইকেট নিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, রোহিতরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে ২টি টেস্ট খেলবে। চেন্নাইয়ে এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ম্যাচ। প্রথম দিন টসে জিতে ফিল্ডিংꦕয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টাইগাররা। শুরুতে ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছিল তারা। প্রথম ১০ ওভারেই ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে মেন ইন ব্লুরা। বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ দুরন্ত বোলিং করে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং শুভমন গিলের উইকেট তুলে নেন। এরপর ভারতকে কিছুটা ম্যাচে ফেরান যশস্বী জসওয়াল এবং ঋষভ পন্ত। দু’জনে জুটিতে ৬২ রান তোলেন। ভারতকে সম্মানজনক রানের দিকে নিয়ে যান অশ্বিন ও জাদেজা। জুটিতে ১৯৯ রান করেন। ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান করে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। শাকিব আল হাসান, লিটন দাস এꦇবং মেহেদি হাসান মিরাজ কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেননি। ভারতীয় বোলারদের আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগেই ১৪৯ রানে অলডাউন হয়ে যায় শাকিবরা। ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানে ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে। শতরান করেন শুভমন গিল এবং ঋষভ পন্ত। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫১৫ রান। তৃতীয় দিনের শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৫৮ রান।