চেন্নাইয়ে সুপার কিংস দলের হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইপিএল খেলছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৫ বার তাঁর নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিএসকে। শেষ ধোনির নেতৃত্বে ২০২৩ আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় চেন্নাই সুপার কিংস। তারপর অনেকে মনে করেছিলেন হয়তো আর আইপিএলে দেখা যাবে না তাঁকে। তবে ২০২৪ আইপিএলে অংশ নিয়েছিলেন মাহি। কিন্তু এবছর তিনি অধিনায়কত্ব করেননি। রুতুরাজ গায়কোয়াড় অধিনায়ক হয়েছিলেন তাঁর জায়গায়। আইপিএল ২০২৪- এ ভালোই ফর্মে ছিলেন ধোনি।&n🐽bsp;তবে ২০২৫ আইপিএলে তাঁকে দেখা যাবে কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই বিষয়ে অবশ্য নিজে মুখ খোলেননি ধোনি।
জানা যাচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস ধোনিকে ধরে রাখতে প্রস্তুত, যদিও কম রিটেনশন ভ্যালু ধার্য করা হয়েছে তাঁর জন্য। সূত্র মতে, খেলোয়াড়দের একটি কোর গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে ম্যানেজমেন্টের তরফে। যেখানে রয়েছেন অলরাউন্ডার শিবম দুবে, শ্রীলঙ্কার পেস সেনসেশন মাথিশা পাথিরানা, রবীন্দ্র জাদেজা এবং রুত꧑ুরাজ গায়কোয়াড়। সম্ভবত এই ক্রিকেটারদের ধোনির চেয়ে বেশি রিটেনশন ভ্যালু দিয়ে দলে রেখে দেওয়া হবে। যদিও বিসিসিআই-এর তরফে এখনও নতুন রিটেনশন পলিসি ঘোষণা করা হয়নি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুল♑িকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত শেষ সময়সীমা দেওয়া হয়েছে নিজেদের মতামত বোর্ডকে জানানোর জন্য। ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে জানার জন্য কতজন প্লেয়ারকে তারা ধরে রাখতে পারবে।
জানা যাচ্ছে ধোনিকে তাদের পরিকল্পনার মধ্যে রেখেই এগোচ্ছে সিএসকে ম্যানেজমেন্ট। তবে দেখার বিষয় ৪৩ বছর বয়সী ধোনির জন্য তারা কত টাকা খরচ করেন। রিপোর্টে জানা যাচ্ছে ম্যানেজমেন্ট ধোনির পিছনে খুব বেশি টাকা খরচ করতে চাইছে না। বিসিসিআই যদি পুরোনো রিটেশন নিয়ম ফিরিয়ে আনে, তাহলে ধোনি এবং চেন্নাই দু’জনেই উপকৃত হবেন। আগে নিয়ম ছিল যদি কোনও ক্রিকেটার পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে থাকে তবে সেই ক্রিকেটারদের আনক্যাপড খেলোয়াড় হিসাবে রিটেনশন করতে পারত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে এখন পুরোটাই নির্ভর করছে বিসিসিআই-এর উপর। ২৯ সেপ্ট💛েম্বর বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা আছে। তারপরই হয়তো নভেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষ দিকে নতুন রিটেনশন পলিসি সম্পর্কে দলগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে সিএসকে-র হয়ে যদি ধোনি নাও খেলেন, কোনও না কোনও ভাবে তিনি যে চেন্নাই দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তা একপ্রকার হলফ করে বলাই যায়। ফলে থালাদর্শন থেকে বঞ্চিত হবেন না চেন্নাইবাসী।