রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুবিধে করে দিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই সঙ্গে নিজেদেরও প্লে-অফের আশা কিছুটা বাড়াল দিল্লি। মঙ্গলবার কোটলায় রাজস্থানকে ২০ রানে হারিয়ে দিল্লি উঠে এল আইপিএলের পয়েন্ট টেবলের পাঁচে। রাজস্থান থেকে গেল দুইয়ে।
🌠রাজস্থানকে জিততে হলে শেষ ১৮ বলে ৪১ রান করতে হত। কিন্তু ১৮তম ওভারে কুলদীপ যাদব ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। সেখানেই রাজস্থানের জয়ের আশা মরিচিকায় পরিণত হয়। ১৯তম ওভারে রশিখ সালাম দেন ৮ রান। শেষ ৬ বলে ২৯ রান দরকার ছিল রাজস্থানের। মুকেশ কুমার বল করতে এসে ওভারের দ্বিতীয় বলেই রোভম্যান পাওয়েলকে বোল্ড করেন। আর এখানেই ইতি হয়ে যায় রাজস্থানের জয়ের স্বপ্ন। শেষ চার বলে রাজস্থান ৭ রান নিলেও, শেষরক্ষা হয়নি।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে, শুরুটা ভালো করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরির হাত ধরে দিল্লির ভিত শক্ত হয়েছিল। এদিন ম্যাকগার্ককে যোগ্য সঙ্গত করেন বাংলার অভিষেক পোড়েল। ম্যাকগার্ক তো প্রথম চার ওভারেই পিটিয়ে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন। বিশেষ করে চতুর্থ ওভারে আবেশ খান বল করতে এলে, তাঁকে পিটিয়ে ছাতু করেন ম্যাকগার্ক। এই ওভারে চারটি চার এবং দু'টি ছক্কা হাঁকান তিনি। হয় মোট ২৮ রান। চতুর্থ ওভারের শেষ বলেই ছয় হাঁকিয়ে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন ম্যাকগার্ক। ১৯ বলে এদিন তিনি অর্ধশতরান করেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৭টি চার, তিনটি ছক্কায়। তবে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ফুলটস মারতে না পেরে, বোল্ড হয়ে যান ম্যাকগার্ক। ৪.২ ওভারে ২০ বলে ৫০ করে ম্যাকগার্ক যখন সাজঘরে ফিরছেন, তখন দিꦚল্লির সংগ্রহ ৬০ রান।
আরও পড়ুন: T20 WC-এর কথা মাথায় রেখ✱ে কি বুমরাহকে বিশ্রাম দেওয়া হবে? সম্ভাবনা ওড়ালেন MI-এর ব্যাটিং কোচ
এর পর অবশ্য পরপর উইকেট পড়ায় রানের গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল দিল্লির। তবে হাল ধরে রেখেছিলেন বাংলার অভিষেক পোড়েল। ২৮ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন অভিষেক। তাঁকেও ফেরান সেই অশ্বিন। ৭টি চার, তিনটি ছক্কার সৌজন্যে ৩৬ বলে ৬৫ রান করেন অভিষেক। মাঝে অবশ্য শাই 💯হোপ (১ বলে ১ রান) এবং অক্ষর প্যাটেল (১০ ১৫ রান) হতাশ করে সাজঘরে ফিরে যান। পাঁচে নেমে ঋষভ পন্তও (১৩ বলে ১৫ রান) নিরাশ করেন। তবে শেষের দিকে হাত খোলেন ত্রিস্তান স্টাবস। ছয়ে নেমে ত্রিস্তান স্টাবস ৩টি করে চার এবং ছয়ের হাত ধরে ২০ বলে ৪১ করেন। এছাড়া ১৫ বলে ১৯ করেন গুলবদিন নায়েব। ৩ বলে ৯ করে রানআউট হন রশিখ সালাম। ২ বলে ৫ করে অপরাজিত থাকেন কুলদীপ যাদব। ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে দিল্লি।
রাজস্থানের হয়ে এদিন সবচেয়ে ভালো বল করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩🌃 উইকেট তুলে নেন তিনি। এক✤টি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট, সন্দীপ শর্মা এবং যুজবেন্দ্র চাহাল।
রান তাড়া করতে নেমে এদিন রাজস্থানের ব্যাটাররা মুখ থুবড়ে পড়েন। দলের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ছাড়া বাকিরা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেননি। যশস্বী জয়সওয়াল (২ বলে ৪) তো ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন। আর এক ওপেনার জোস বাটলারও (১৭ বলে ১৯) এদিন হতাশ করেন। তিনে নেমে সঞ্জু হাল ধরেছিলেন। তৃতীয় উইকেটে রিয়ান পরাগের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। রিয়ান খারাপ খেলছিলেন না। কিন্তু তিনিও বেশীক্🍌ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। ৩টি ছক্কা, একটি চারের হাত ধরে রিয়ান ২২ বলে ২৭ করে সাজঘরে ফেরেন। কিন্তু সঞ্জু লড়াই চালিয়ে চান। অধিনায়কের ইনিংস খেলেন তিনি। ২৮ বলে অর্ধশতরান করেন সঞ্জু। স্পিনার, পেসার কাউকে রেয়াত করছিলেন না। প্রতি ওভারে ১০ রানের বেশি হচ্ছিল। পাঁচে নেমে শুভম দুবেও লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ও২টি করে ছয় এবং চারের সৌজন্যে ১২ বলে ২৫ করে আউট হয়ে যান শুভম।
আরও পড়ুন: KKRও-কে নিশ্চিন্ত করলেন তারকা আফগান উইকেটকিপার-ব্যাটার, শীঘ্রই যোগ দিতে চলেছেন নাইট শিবিরে
শুভমের আগেই💜 অবশ্য সঞ্জু ফিরে গিয়েছিলেন সাজঘরে। হাফডজন ছক্কা এবং ৮টি চারের হাত ধরে ৪৬ বলে ৮৬ রান করে মুকেশের বলে বাউন্ডারি লাইনের সামনে সঞ্জুর ক্যাচ ধরেন শাই হোপ। যে ক্যাচ নিয়ে প্রবল বিতর্ক রয়েছে। ক্যাচ ধরা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তবে শাই হোপ ভারসাম্য রাখতে না পেরে বাউন্ডারি লাইনের সামনে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর পা বাউন্ডারি লাইনে লেগেছে কিনা, তা নিয়েই বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। যদিও তৃতীয় আম্পায়ার আউট দেন। কিন্তু সেই আউট নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে! সঞ্জু স্যামসন রিভিউ নিতে চেয়েছিলেন। ততক্ষণে অবশ্য সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ১৫.৪ ওভারের মাথায় তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হয়। তখন দলের রান ১৬২। ৪ উইকেট পড়েছে। সঞ্জু ক্রিজে থাকলে, হয়তো খেলার ফল অন্য রকম হতেও পারত।🌼