🔯 বিরাট কোহলির ব্যর্থতা সত্ত্বেও রঞ্জি ম্যাচে বড় জয় তুলে নিল দিল্লি। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রেলওয়েজকে ইনিংসের ব্যবধানে হারিয়ে দিল তারা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কোটলায় ফের মাঠে ঢুকে খেলার মাঝে বিঘ্ন ঘটান দর্শকরা। নিরাপত্তার বেড়া টপকে বিরাট কোহলির কাছে পৌঁছতে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
༒একসঙ্গে একাধিক দর্শক মাঠে ঢুকে পড়েন। যার ফলে ম্যাচের গতি বাধা পায়। আরও কয়েকজন দর্শক মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা পা ধারে টেনে নামান তাঁদের। সব মিলিয়ে কোহলিকে নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা সামলাতে হিমশিম খেতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের।
🥂উল্লেখ্য, ম্যাচের প্রথম দিনেও এক দর্শক মাঠে ঢুকে সোজা পৌঁছে যান স্লিপে ফিল্ডিং করা কোহলির কাছে। তিনি বিরাটের পা ছুঁয়ে তবেই ধরা দেন নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে। যদিও মাঠের মাঝেই নিরাপত্তারক্ষীদের হাত থেকে মার খেতে হয় তাঁকে। এবার ফের দর্শকদের মাঠে ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটে কোটলায়।
ꦛবিরাট কোহলি অবশ্য ব্যাট হাতে দর্শক মনোরঞ্জনে ব্যর্থ। তিনি একটি ইনিংসেই ব্যাট করার সুযোগ পান। সেই ইনিংসে বড় রান করতে পারেননি কোহলি। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ বলে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিরাট। তাঁকে বোল্ড করেন রেলওয়েজের পেসার হিমাংশু সাঙ্গওয়ান।
🌼কোহলি রান না পেলেও দিল্লি এক ইনিংস ও ১৯ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে রেলওয়েজকে। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে রেলওয়েজ। তারা নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪১ রান তোলে। রেলওয়েজ ব্যাট করে ৬৭.৪ ওভার। ১৭৭ বলে ৯৫ রান করেন উপেন্দ্র যাদব। তিনি ১০টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০৫ বলে ৫০ রান করেন করণ শর্মা। দিল্লির হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন নভদীপ সাইনি ও সুমিত মাথুর।
🍰পালটা ব্যাট করতে নেমে দিল্লি তাদের প্রথম ইনিংস ৩৭৪ রান তোলে। তারা ১০৬.৪ ওভার ব্যাট করে। ৭৭ বলে ৯৯ রান করেন আয়ুষ বাদোনি। তিনি ১২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ২০৬ বলে ৮৬ রান করেন সুমিত মাথুর। তিনি ৮টি চার মারেন। রেলওয়েজের হয়ে ৪টি উইকেট দখল করেন হিমাংশু সাঙ্গওয়ান। ৩টি উইকেট নেন কুণাল যাদব।
𓆉প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৩৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে রেলওয়েজ। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। তাদের ইনিংস স্থায়ী হয় ৩০.৫ ওভার। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩০ বলে ৩০ রান করে নট-আউট থাকেন অয়ন চৌধরী। দিল্লির হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ৫টি উইকেট নেন শিবম শর্মা। ম্যাচের সেরা হন সুমিত।