আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়ি ঘোরানো ক্রিকেটারদের যেমন বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বাড়তি দক্ষতা থাকে, ঠিক তেমনই কিছু দুর্বলতাও থাকে। ব্যতিক্রমী নন বিরাট কোহলিও। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়ানো কোহলি এক্ষেত্রে নিজেই স্বীকার করে নেন যে, তিনি কোনওভাবেই টেকনিক্যালি নিখুঁত ক্রিকেটার নন বা ঈশ্বর প্রদত্ত সহজাত প্রতিভা হিসেবেও নিজেকে দেখেন না। তবে সেরা হওয়ার আকাঙ্খা তার বরাবরের।
কোহলি নিজেই জানান যে, তাঁর বিশেষ কিছু দুর্বলতা ছিল, যা তাঁর আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারত। বিরাট সেই সঙ্গে এও জানান যে, কার জন্য তাঁর পক্ষে সেই সব দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। আরসিবির পডকাস্টে কোহলি তাঁর কেরিয়ারের শুরুতে বড়সড় অবদান রাখা এক ব্যক্তির নাম নেন, যিনি ভারতীয় নন বা ভারতীয় দলকে কখনও কোচিংও করাননি।
সচরাচর কোচেরাই ক্রিকেটারদের দুর্বলতা চিহ্নিত করেন এবং ভুল-ভ্রান্তি শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে কোচ না হয়েও কোহলির জন্য এই কাজ করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন উইকেটকিপার-ব্যাটার মার্ক বাউচার। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কোহলি কখনও বাউচারের কাছে সাহায্য চাননি, বরং নিজে থেকে এগিয়ে এসে বিরাটকে আন্তর্জাতিক মঞ্চের জন্য প্রস্তুত করেন প্রোটিয়া তারকা এবং সেই কারণেই বাউচারের প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ ঝরে পড়ল কোহলির গলায়।
আরও পড়ুন:- KKR-এর দরকার তিনে ৩? IPL 2025-এর প্লে-অফে যেতে কোন দলের ক'টি জয় চাই?
বিরাট বলেন, ‘শুরুর দিকে যে সব ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলেছি, তাদের মধ্যে আমার কেরিয়ারে সব থেকে বড় প্রভাব রয়েছে মার্ক বাউচারের। ওই আমার দুর্বলতাগুলি খুঁজে বার করে। যদি পরবর্তী পর্যায়ে নিজেকে তুলে নিয়ে যেতে হয়, তো কোন দিকগুলিতে আমার নজর দেওয়া দরকার, সেটা বলে দেয় ও।’
বিরাট আরও বলেন, ‘আমি কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই ও বলে যে, শর্ট বলের বিরুদ্ধে দুর্বলতা কাটাতে হবে। যদি পুল না করতে পারো, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেউ দলে নেবে না। আমাকে নেটে নিয়ে যায় এবং জোরে জোরে টেনিস বল ছুঁড়তে থাকে। আমার তখন মনে হয়ে যে, এরকম হলে তো আমার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার আশা নেই। বাউচার বলে, ও যখন তিন-চার বছর পরে ভারতে কমেন্ট্রি করতে আসবে, তখন যদি আমাকে ভারতীয় দলে না দেখে, তাহলে বুঝতে হবে আমি নিজের সঙ্গে অন্যায় করেছি। ওর কথা আমাকে চমকে দিয়েছিল।’