২০২৪ আইপিএল প্রচারাভিযানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হতাশাজনক পারফরম্যান্স উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা এখনও পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলে, ছ'টিতেই হেরেছে। মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে। ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ🔜 এবং মনোজ তিওয়ারি আরসিবি-র ব্যর্থতা প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন, যেগুলির সমাধান জরুরি।
✃ সেহওয়াগের দ্বারা উত্থাপিত প্রাথমিক উদ্বেগের মধ্যে একটি হল, আরসিবি-তে ভারতীয় সাপোর্ট স্টাফের অভাব। তিনি বিশ্বাস করেন যে, দেশীয় খেলোয়াড়দের স্বাধীন ভাবে নিজেদের প্রকাশ করার ক্ষমতা এতে বাধা পাচ্ছে।
🤡 প্রধান কোচ হিসেবে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এবং বোলিং কোচ হিসেবে অ্যাডাম গ্রিফিথ সহ প্রধানত বিদেশি কোচিং স্টাফই রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। সেহওয়াগ দাবি করেছেন যে, ভারতের অনেক খেলোয়াড়েরই এতে কথা বলার বা নিজের ভাব প্রকাশের সমস্যা হচ্ছে। এবং কোথাও গিয়ে একটি সংযোগের জায়গা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ꦺ১০৮ মিটারের বিশাল ছক্কা কার্তিকের, চোখ কপালে তুললেন কামিন্স, হল রেকর্ডও- ভিডিয়ো
🌌 বীরুর সাফ বক্তব্য, ‘যদি আপনার ১২-১৫ জন ভারতীয় খেলোয়াড় থাকে, আর ১০ জন বিদেশি থাকে এবং আপনার কেচিং পুরো স্টাফ বিদেশিদের নিয়ে তৈরি হয়, এটি একটি সমস্যা। ওদের মধ্যে মাত্র কয়েক জন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়, বাকিরা সবাই ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে এবং ওদের অর্ধেকই ইংরেজিও বোঝে না। ওদের অনুপ্রাণিত করতে হলে, যারা ওদের সঙ্গে কথা বলে, তাদের মধ্যে অন্তত এমন একজনের থাকা উচিত, যাকে খেলোয়াড়রা বিশ্বাস করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ꧟যদি ব্যাটার হতাম- ম্যাচ জেতার পরেও আফসোসের সুর কামিন্সের গলায়
🅷 অন্যদিকে মনোজ তিওয়ারি অন্য কারণ উত্থাপিত করেছেন। তিনি নিলাম থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজমেন্ট- সব কিছুকেই আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, ‘আমি জানি সমস্যাটা কোথায়। নিলামের টেবিল থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্ট পর্যন্ত সমস্যা রয়েছে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সব ভালো খেলোয়াড় অন্য দলের হয়ে খেলতে চলে যায়। ওদের একজন প্লেয়ার, যে অন্য দলের হয়ে বর্তমানে খেলছে, এই মরশুমে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারী (যুজবেন্দ্র চাহাল)।’
♐ সোমবার আইপিএল ২০২৪-এর ৩০তম ম্যাচটি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। এই ম্যাচে রানের বন্যার সঙ্গে ছিল চার ও ছক্কারও ফোয়ারা। এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়েছে। তারা এদিন ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান করে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে। তবে ২৬২ রানে থেমে যায় আরসিবি। দুই ইনিংস মিলিয়ে এই ম্যাচে ৫৪৯ রান হয়। এটিও কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।