দিল্লির কোটলায় শনিবাসরীয় দুপুরের ঝড়ে একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলারদের যাবতীয় আক্রমণ। সেই ঝড়ের নাম জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। তাঁর দাপটেই কেঁপে গেলেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। এদিন ম্যাকগার্ক বিধ্বংসী মেজাজে হাফসেঞ্চুরি হাঁকান। মাত্র ১৫ তিনি অর্ধশতরান করে ফেলেন। সেই সঙ্গে পাওয়ার প্লে-তেই দিল্লি ক্যাপিটালস বিনা উইকেটে ৯২ রান করে ফেলে। এটাই পাওয়া🔥র প্লে-তে দিল্ল🔯ির করা সর্বোচ্চ স্কোর। আইপিএলের ইতিহাসে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ পাওয়ার প্লে-র স্কোর।
আরও পড়ুন: ম্যাচ �𒀰�চলাকালীনই রোহিতের হাত থেকে ঘুড়ি নিয়ে অন্য খেলায় মাতলেন পন্ত, ভাইরাল হল সেই ভিডিয়ো
ক্ষোভে ফেটে পড়লেন হার্দিক
দিল্লির হয়ে ওপেন করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক মুম্বইয়ের কোনও বোলারকে ছাতু করতে বাদ দেননি। এমনকী জসপ্রীত বুমরাহকেও মাঠের বাইরে পাঠাতে পিছপা হননি তিনি। আর এতেই সম্ভবত নিজের মেজাজ ধরে রাখতে প꧙ারেননি হার্দিক। দিল্লির ইনিংস চলার সময়ের একটি ভিডিয়ো নেটপাড়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে প্রকাশ্যে রাগে ফেটে পড়তে। বাউন্ডারি লাইনের ধারে ফিল্ডিং করার সময়ে হার্দিককে রাগে ফেটে পড়তে দেখা যায়। যদিও কার উপর তিনি মেজাজ দেখাচ্ছিলেন, বা তাঁর ক্ষোভের কারণ কী, সেটা অবশ্য জানা যায়নি।
এদিন হার্দিকও বল হাতে নিরাশ করেছেন। তিনি মাত্র ২ ওভার বল করে ৪১ রান দিয়ে বসেন। কোনও উইকেট নেননি। হার্দিকের এবারের আইপিএলের পারফরম্যান্সও এখনও পর্যন্ত আহামরি নয়। তিনি ব্যাট হাতে এꦑকটিও হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি। দিল্লির বিরুদ্ধে ২৫৮ রানের তাডা় সময়ে ২৪ বলে বলে ৪৬ রান করেন হার্দিক।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তবে প্রথমে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠানোটাই কি বুমেরাং হয়ে গেল? এদিন দিল্লির হয়ে ওপেন করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক মুম্বইয়ের কোনও বোলারকে ছাতু করতে বাদ দেননি। এমনকী জসপ্রীত বুমরাহকেও মাঠের বাইরে পাঠꩲাতে পিছপা হননি। তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই পাওয়ার প্লে-তে ৯২ রান করে ফেলে দিল্লি। যেটি তাদের প্রথম ছয় ওভারে সর্বোচ্চ রান।
তবে এদিন প্রায় নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন ম্যাকগার্ক। ২৭ বলে ঝোড়ো ৮৪ করে তিনি আউট ꦺহয়ে যান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১১টি চার এবং ছ'টি ছক্কায়। স্ট্রাইক রেট ৩১১.১১। আর এক ওপেনার অভিষেক পোড়েল করেন ২৭ বলে ৩৬ রান, ১৭ বলে ৪১ রান করেন শাই হোপ, ১৯ বলে ২৯ করেন ঋষভ পন্ত। এছাড়া পাঁচে ব্যাট করতে নেমে ২৫ বলে ৪৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ত্রিস্তান স্টাবস। তাঁর হাত ধরেই সাড়ে তিনশোর গণ্ডি পার করে দিল্লি। ৬ বলে ১১ করে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে দিল্লি। এটি আইপিএলে তাদের নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর।
আরও পড়ুন: KKR-এর বি꧟রুদ্ধে রেকর্ড জয়ের পর দিনই দুঃসংবাদ PBKS শিবিরে,দল ছাড়লেন তারকা বিদেশি
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি মুম্বইয়ের। রোহিত শর্মা (৮ বলে ৮), ইশান কিষান (১৪ বলে ২০) এব♕ং সূর্যকুমার যাদব (১৩ বলে ২৬) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন তিলক বর্মা এবং হার্দিক। মুম্বই অধিনায়ক ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কা সৌজন্যে করেন ২৪ বলে ৪৬। জুটিতে ওঠে ৭১ রান। এর পর নেহাল ওয়াধেরাও (৪) নিরাশ করেন।
তবে টিম ডেভিড দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। তিনি করেন ১৭ বলে ৩৭ౠ রান। ২টি চার এবং ৩টি ছক্কা হাঁকান ডেভিড। মহম্মদ নবি করেন ৪ বলে ৭ রান। শ💃েষ ওভার রান আউট হন তিলক বর্মা। তবে তিলকের ৩২ বলে ৬৩ রানই মুম্বইয়ের সবচেয়ে বড় অক্সিজেন ছিল। তাঁর ইনিংসে ছিল ৪টি করে চার এবং ছক্কা। তবে তিলক আউট হতেই মুম্বইয়ের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। পিযূষ চাওলা করেন ৪ বলে ১০। লুক উড অপরাজিত থাকেন ৩ বলে ৯ রানে। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৭ করে মুম্বই। ১০ রানে তারা ম্যাচটি হেরে যায়।