দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পরেই বোঝা গিয়েছিল যে, লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের জয়টা সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর শুক্রবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে এক ঘণ্টার একটু বেশি সময়ের মধ্যেই জয় ছিনিয়ে নেয় ব্রিটিশরা। এক ইনিংস এবং ১১৪ রানের উইন্ডিজকে হারিয়ে জেমস অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখলেন বেন স্টোকসরা।
লর্ডস টেস♛্ট কার্যত ছিল অ্যান্ডারসনেরই টেস্ট। ৪১ বছর বয়সী ইংলিশ ফাস্ট বোলার আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লডর্সের এই টেস্টটি তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হবে। তাই প্রথম দিন থেকেই ম্যাচটি হয়ে যায় অ্যান্ডারসনের টেস্ট। আ💧র তৃতীয় দিন ইংল্যান্ডের জয় যে কার্যত নিশ্চিত, তা ধরে নিয়েই, এদিন খেলা শুরু হওয়ার আগে ইংল্যান্ডের তারকা ফাস্টবোলারকে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মান। ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ উভয় দলই অ্যান্ডারসনকে গার্ড অফ অনার দেয় এদিন।
আরও পড়ুন: KKR-এ গম্ভীরের পরিবর্ত কে? উঠে এল নাইট জার্🅘🍒সিতে IPL জয়ী প্রোটিয়া প্লেয়ারের নাম
উইন্ডিজ দল কিংবদন্তি পেসারকে গার্ড অফ অনার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, যখন তিনি প্রথম ইনিংসের শেষে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। তবে শোয়েব বশিরকে সরাসরি থ্রো-তে রানআউট করার সেলিব্রেশনে এতটাই মেতে গিয়েছ💎িল ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে, অ্যান্ডারসনের কথা দলের প্লেয়ারদের মাথা থেকেই বের হয়ে গিয়েছিল। তাই তৃতীয় দিনের ম্যাচ শুরুর আগে জিমিকে সেই সম্মানটা জানাতে ভোলেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্লেয়াররা। সঙ্গে ছিলেন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রাও।
আর নিজের শেষ টেস্টের শেষ মুহূর্তকে অ্যান্ডারসনও নিজের মতো করে রাঙিয়ে নিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ৬ উইকেটে ৭৯ রান নিয়ে। দি🐎নের ১৪তম ওভারেই উইকেট হারায় উইন্ডিজ। সেই উইকেটটি তুলে নেন অ্যান্ডারসনই। অ্যান্ডারসনের বলে জোশুয়া ডা'সিলভার (৯) শট ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় জেমি স্মিথের গ্লাভসে। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দিন তিনি উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেগ ব্র্যাথওয়েটকে বোল্ড করেছিলেন। এবং আলিক আথানাজেকেও ফিরিয়েছিলেন সাজঘরে। আর তৃতীয় দিন জোশুয়াকে ফিরিয়ে তিনি এই ইনিংসে তাঁর তৃতীয় উইকেট তুলে নেন। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন এক উইকেট। বিদায়ী টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে জিমি মোট ৪ উইকেট তুলে নেন।
প্রসঙ্গত, অ্যান্ডারসন প্রথম পেসার হিসাবে টেস্টে ৭০০-এর বেশি উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর মোট উইকেট সংখ্যা ৭০৪। সব মিলিয়ে টেস্ট সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীদের তালিকায় জিমি রয়েছেন তিনে। তাঁর আগে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার মুথাইয়া মꦓুরলিথরন (৮০০) এবং অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন (৭০৮)।
এর পর খুব দ্রুত আলজারি জোসেফ (৮) এবং সামার জোসেফকে (৩) সাজঘরে ফেরান গাস অ্যাটকিনসন। পরে জয়ডেন সিলসের (৮) উইকেটও তুলে নেন অ্যাটকিনসন। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট নেন তিনি। অভিষেক টেস্টে🍒 সব মিলিয়ে ১২ উইকেট নিলেন অ্যাটকিনসন। প্রথম ইনিংসে ৪৫ রানে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬১ রানে নেন ৫ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুক্রবার তাদের শেষ চার উইকেট হারায় মাত্র ৫৭ রানে। সেই সঙ্গে লজ্জাজনক ব্যবধানে হেরে বসে তারা। উইন্ডিজ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩৬ রানেই অলআউট হয়ে যায়।
গুডাকেশ মোতি ৩১ করে অপরাজিত থাকেন। উইন্ডিজ🐼ের দ্বিতীয় ইনিংসে এটাই তাদের দলের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর। এছাড়া আথানাজে ২২ করেছেন, জেসন হোল্ডার ২০ রান করেন, ১৪ করেছেন মিকাইল লুইস। এর বাইরে বাকিরা কেউ এক অঙ্কের গণ্ডিও টপকাতে পারেননি। ইংল্যান্ডের হয়ে অ্যান্ডারসনের ৩ উইকেট এবং অ্যাটকিনসনের ৫ উইকেট ছাড়াও, বেন স্টোকস নিয়েছেন ২ উইকেট।
লর্ডস টেস্টে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ꦇ১২১ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল। সর্বোচ্♍চ ২৭ রান করেছিলেন লুইস। জবাবে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৭১ রানে অল আউট হয়ে যায়। সেই রান দ্বিতীয় ইনিংসেও পার করতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক ইনিংস এবং ১১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে তারা হেরে বসল।