এক ওভারে ছয় ছক্কা মেরেছেন একজন। আর একজন রঞ্জি ট্রফি অভিষেকেই ছয় উইকেট নিয়েছেন। আর সেই🦹 দুই তরুণ ক্রিকেটারই এবার আইপিএলের নিলামে কোটিপতি হয়ে উঠলেন। দিল্লির বাঁ-হাতি ব্যাটার প্রিয়াংশ আর্যকে ৩.৮ কোটি টাকায় নিল পঞ্জাব কিংস। আর চেন্নাইয়ের বাঁ-হাতি পেসার গুরজাপন্ত সিংকে ২.২ কোটি টাকায় দলে নিল চেন্নাই সুপার কিংস। দু'জনেরই বেস প্রাইস ছিল ৩০ লাখ টাকা। সেখান থেকে তাঁদের নিতে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। কিন্তু তাঁদের মধ্যে এমন কী দেখল দলগুলি যে এত জোর টক্কর হল? ২৩ ꧒বছরের প্রিয়াংশ এবং ২৬ বছরের গুরজাপন্তের অজানা বিষয়গুলি জেনে নিন -
‘সিক্স' মাস্টার প্রিয়াংশ - কে তিনি আদতে?
১) প্রিয়াং🅺শ হলেন দিল্লির ব্যাটার। ২০০১ সালের জানুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন। যশস্বী জয়সওয়াল, রবি বিষ্ণোইয়ের মতো তারকাদের সঙ্গে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছেন। ২০২১ সালে দিল্লির হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে প্রিয়াংশের স্ট্রাইক রেট ১৫৫। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে দিল্লির হয়ে ‘ল♏িস্ট এ’ ম্যাচে অভিষেক হয়েছে।
২) কয়েক মাস আগে প্রচারের আলোয় আসেন প্রিয়াংশ। গ𒈔ত অগস্টে দিল্লি প্রিমিয়র লিগের ম্যাচে ছয় বলে ছ'টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে নর্থ দিল্লি স্ট্রাইকার্সের বিরুদ্ধে ৫০ বলে ১২০ রান করেছিলেন। মেরেছিলেন ১০টি চার এবং ১০টি ছক্কা। সেই বিধ্বংসী ইไনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ৩০৮ রান তুলেছিল সাউথ দিল্লি সুপারস্টারস।
৩) সবমিলিয়ে উদ্বোধনী দিল্লি প্র🐈িমিয়র লিগে ৬০৮ রান করেন প্রিয়াংশ। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৯৮.৬৯। গড় ছিল ৬৭.৫৬। ১০টি ইনিংসে ৪৩টি ছক্কা মেরেছিলেন।
৪) ২০২৩-২৪ꦚ সালের সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন প্র꧋িয়াংশ। সাতটি ইনিংসে মোট ২২২ রান করেছিলেন। গড় ছিল ৩১.৭১। স্ট্রাইক রেট ১৬৬.৯১।
৫) আর আইপিএলে নিলামের একদিন আগেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে শতরান করেন প্রিয়াংশ। রবিবার থেকে আইপিএলের নিলাম শুরু হয়। আর শনিবার উত্তরপ্রদেশের বিরুদဣ্ধে ৪৩ বলে ১০২ রান করেন। মারেন ১০টি ছক্কা এবং চারটি চার। আর কোনও দুর্বল ব্যাটিং লাইন-আপের বিরুদ্ধে সেই ইনিংস খেলেননি। ভুবনেশ্বর কুম♎ার, শিবম মাভি, পীযূষ চাওলাদের উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেই শতরান হাঁকান প্রিয়াংশ।
বিরাটকে বোল্ড, পূজারাকে আউট করেন গুরজাপন্ত
১) গুরজাপন্ত আদতে আম্বালার ছেলে। অনেকবার চেষ্টা করেও পঞ্জাবের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে সুযোগ পাননি। সেই পরিস্থিতিতে কোচের পরামর্শে তামিলনাড়ুতে চলে আসেন। ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা গুরু নানক কলেজ থেকেই বেড়ে ওঠেন। কলেজের সুবাদে ইন্ডিয়া সিমেন্টসের বিজয় সিসির ব্যাটারদের নেটে বোলিং করতেন। সেখান থেকে তৃতীয় ডিভিশনে সুযোগ পেয়ে যান। তারপর তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগের চুক্তি প🥂েয়ে যান গুরজাপন্ত।
২) অক্টোবরে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয় গুরজাপন্তের। অভিষেক ম্যাচেই সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪ ওভারে ২২ রান দিꦡয়ে ছয় উইকেট নেন। পাঁচটি মেডেনও করেন। তাঁর শিকারের তালিকায় চেতেশ্বর পূজারারও নাম ছিল। শূন্য রানে আউট করেছিলেন পূজারাকে।
বিরাটকে রাগিয়ে দিয়েছিলেন গুরজাপন্ত!
চেন্নাই সুপার কিংসের নেটে বোলিং করতেন গুরজাপন্ত। গত সেপ্টেম্বরে বাংলা💖দেশের বিরুদ্ধে ভারতের টেস্টের আগে চেন্নাইয়ের নেটে ভারতীয় ব্যাটারদেরও বোলিং করেছিলেন। সেইসময় বিরাট কোহলিকে বোল⛄্ড করে দিয়েছিলেন।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিরাটকে 🦩আউট করার পরেও কোনওরকম সেলিব্রেশন করেননি গুরজাপন্ত। কিন্তু রীতিমতো চটে গিয়েছিলেন বিরাট। আর রেগে গিয়ে যেভাবে তাকিয়েছিলেন, সেটা কখনও ভুলবেন 🧸না। তারপর অবশ্য পালটা ড্রাইভ মেরেছিলেন।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুরজাপন্ত বলেন, ‘উনি (বিরাট) মারাত্মক রেগে গিয়েছিলেন। মারাত্মক। যদিও আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে উনি অন্য কিছুর থেকেও বেশি নিজের উপরে রেগে গিয়েছিলেন। একটা স্ট্রেট ড্রাইভ মারার পরে আমার দিকে তাকিয়ে হেসেছিলেন।’ সেইসঙ্গে গুরজাপন্ত জানান, তাঁকে 𒁏প্রচুর টিপস দিয়েছিলেন বিরাট।