ঠিক ছিল বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলেই ক্রিকেট মাঠে কামব্যাক করবেন মহম্মদ শামি। ৬ নভেম্বর কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁকে বল করতে দেখা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত এখনও পর্যন্ত ম্যাচ খেলার ছাড়পত্র পাননি শামি। বর্তমানে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (NCA) নিজেকে ফিট করে ༺তোলার উপর জোর দিচ্ছেন তিনি। NCA সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৬ নভেম্বরের আগে তাঁকে কোনও ভাবেই ফিট করে তোলা সম্ভব নয়। ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন এই তারকা পেসার। তরপর থেকে আর ক্রিকেট মাঠে দেখা যায়নি তাঁকে। বছরের শুরুর দিকে অস্ত্রোপচারও হয়েছে তাঁর। এরপর দীর্ঘদিন বিশ্রামে থাকার পর সেপ্টেম্বর থেকে বল করা শুরু করেন তিনি।
অক্টোবরে হঠাৎ করে আবার হাঁটুতে চোট পান মহম্মদ শামি। প্রথমে নিউজিল্যান্ড সিরিজ খেলার কথা থাকলেও নতুন করে পাওয়া চোট সেই আশায় জল ঢেলে দেয়। বেশ কিছুদিন হাঁটু ফোলা অবস্থায় ছিল তাঁর। এখন অবশ্য ব্যাথা বা ফোলা কোনওটাই নেই। তবে পায়ের জোর বাড়ানোর ব্যায়াম চলছে তাঁর। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে নেটে বল করতে দেখা যায় তাঁকে। বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের তত্ত্বাবধানে বেশ অনেকক্ষণ বোলিং করেন তিনি। NCA-এর এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘শামি এখন কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার জন্য পুরো ফিট নয়। পায়ের জোর বাড়াতে ব্যায়াম করানো হচ্ছে তাঁকে। নেটে বল করলেও ম্যাচ খেলার মতো ফিট হতে এখনও আরও কিছুদিন সময় লাগব♈ে। আশা করা হচ্ছে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ফিট হয়ে উঠবে তিনি।’
উল্লেখ্য, এর আগে জানা যাচ্ছিল শামি ফিট হয়ে উঠেছেন। এই পেসার নিজেও ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন, তিনি ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা জানিয়েছিলেন, ‘আমার সঙ্গে ওর কথা হয়েছে। পরের দুটো ম্যাচে শামি খেলতে পারে।’ তবে এখন পরিস্থিতির সম্পূর্ণ বদল ঘটেছে। মহম্মদ শামিকে ঠিক কবে আবা𒉰র বল হাতে দেখা যাবে সেটা নিশ্চিত করে বলা খুব কঠিন। শোনা যাচ্ছিল বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলার পরই🗹 অস্ট্রেলিয়া সফরে তাঁকে ঢেকে নেওয়া হতে পারে, কিন্তু এখন তা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। শামি এখনও পর্যন্ত ভারতের হয়ে ৬৪টি টেস্ট খেলেছেন। যেখানে তিনি ২২৯টি উইকেট নিয়েছেন, বেস্ট বোলিং ফিগার ৬/৫৬।