আরও একটা হার চেন্নাই সুপার কিংসের। এবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১৮ রানে হারল সিএসকে। শেষ কবে আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস প্রথম পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে, সেটাই অনেকেরই মনে নেই। আইপিএলে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের অধিনায়কত্বের কেরিয়ারটা মোটেই ভালো জায়গায় যে নেই সেকথা বলাই বাহুল্য। কারণ গতবারও তাঁর দল আইপিএলের প্লে অফে পৌঁছাতে⛦ পারেনি। এবারেও পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে তাঁরা।
এদিনের ম্যাচে রুতুরাজ গায়কোয়াড় তেমন ছন্দ দেখাতে পারলেন না ব্যাটে। দলও হারল। ম্যাচ শেষে তিনি অবশ্য রাখঢাক না রেখেই সরাসরি ফিল্ডিং নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিলেন। এছাড়াও ডেভন কনওয়ের ওই সময় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘর🃏ে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েও তিনি ম্যাচের শেষে মুখ খুললেন।
রুতুরাজ গায়কোয়াড় বললেন, ‘আমার মনে হয় শেষ চারটি ম্যাচে আমাদের ফিল্ডিং একেবারে ভালো হয়নি, অত্যন্ত সংকটজনক ফিল্ডিং বলা যায়। ক্য়াচ মিস হচ্ছে, আর সেই ব্য়াটার ১৫, ২০ কি ৩০ রান তুলে নিচ্ছে। কখনও কখনও সেটাকে মেনে নিতে হয় ’। প্রসঙ্গত পরিসংখ্যানে যদ🦋ি নজর রাখা যায়, তাহলে এবারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংস মোট ১২টি ক্যাচ মিস করেছে। এদিনও রাচিন রবীন্দ্র সহজ ক্যাচ মিস করেন।
এরপর প্রিয়াংশের শতরান নিয়ে তিনি ব⛎লেন, ‘ও খুব ভালো খেলেছে। খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিং। আমরা উইকেট নিচ্ছিলাম নিয়মতি, কিন্তু ও রানের গতি চালিয়ে যাচ্ছিল। ১০-১৫ রাম কম দিতে পারলে, আমার ভালো হত। ক্যাচ মিসটা ভোগাচ্ছে। আমাদের ব্যাটিং কিন্তু ভালোই হয়েছে। টপ অর্ডারে রাচিন এবংকনওয়ে ভালো খেলেছে। আমরা মাত্র ২-৩টে বড় শট খেলা থেকে দূরে ছিলাম, ডেভন বড় শট খেলায় বেশি ভালো, ওকে টপ অর্ডার দরকার ’।
এরপরই কনওয়ের রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন কোনও ব্যাটার রান করতে অসুবিধায় পড়ছে, তখন তাঁকে সময় দিতে হয়। তারপর আমাদের যখন মনে হয় এটা দরকার, তখন ওকে বদলেছি। আমি ম্যাচের আগেও ক্রিকেটারদের বলেছি, খেলা উপভোগ কর। চাপ নিও না, চাপ নিলে বেশি ক্যাচ মℱিসღ হবে। ব্যাটিং বোলিংয়ে খারাপ দিন আসতে পারে, কিন্তু ভালো ফিল্ডার দলে থাকলে তাঁরা কয়েকটা রান আটকালে এবং রান আউট করলে সেটা দলকে সাহায্য করে ’।