গত মরশুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঠে নামতে চানন🔴ি বলে বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েন শ্রেয়স আইয়ার। তবে এবছর মরশুমের শুরু থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে মন দিয়েছেন তিনি। মাঠে নেমেছেন প্রাক মরশুম প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট বুচি বাবুতে। দলীপ ট্রফির তিনটি ম্যাচে ইন্ডিয়া-ডি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাঝে ইরানি ট্রফিতে মাঠে নামার পরে এবার মুম্বইয়ের হয়ে খেলছেন রঞ্জি ট্রফি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শ্রেয়স দলীপ ট্রফিতে ২টি ও ইরানি কাপে ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তবে ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকানোর পরেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরছিলেন তিনি। কোনওভাবেই তিন অঙ্কের রানে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছিল না তাঁর। অবশেষে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে সেই বাধা দূর করেন শ্রেয়স। রুতুরাজ গায়কোয়াড়দের বিরুদ্ধে চলতি রঞ্জি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মুম্বইয়ের হয়ে দুর্দান্꧂ত সেঞ্চুরি করেন শ্রেয়স আইয়ার।
মুম্বইয়ের শরদ পাওয়ার অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মহারাষ্ট্র। যদিও তারা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় মাত্র ১২৬ রানে। মহারাষ্ট্রের প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয় সাকুল্যে ৩১.৪ ওভার। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৮ রান করেন নিখিল নায়েক। ক্যাপ্টে🍨ন রুতুরাজ গায়কোয়াড় খাতা খুলতে পারেননি। মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন শামস মুলানি ও মোহিত আবস্তি। ২টি করে উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর ও রয়স্টোন ডায়াস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই প্রথম দিনের শেষে তা🍸দের প্রথম ইনিংসে তোলে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২২০ রান। অর্থাৎ, প্রথম দিনেই ৯৪ রানের লিড নিয়ে নেয় মুম্বই। শ্রেয়স আইয়ার প্রথম দিনে নট-আউট থাকেন ব্যক্তিগত ৪৫ রানে। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলা শুরু করে শুধু ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডিই নয়, বরং শতরানের গণ্ডিও টপকে যান আইয়ার।
শ্রেয়স ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৬৬ বল💫ে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিন🧔ি শতরানের গণ্ডি টপকে যান ১৩১ বলে। সাহায্য নেন ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চে শ্রেয়স অপরাজিত থাকেন ব্যক্তিগত ১০১ রানে।
শ্রেয়স শতরান করলেও নিশ্চিত দ্বিশতরান মাঠে ফেলে আসেন আয়ুষ মাত্রে। তিনি ব্যক্তিগত ১৭৬ রানে আউট হয়ে বসেন। ২৩২ বলের ইনিংসে আয়ুষ 𒁃২২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চে প্রথম ইনিংসে🅠 মুম্বইয়ের স্কোর ৪ উইকেটে ৩৩৫ রান। অর্থাৎ ইতিমধ্যেই তাদের হাতে লিড ২০৯ রানের।