জয় দিয়ে হোম সিরিজ শুরু করল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিনেই পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল প্যাট কামিন্স ও তাঁর ব💦াহিনী। এদিন ব্যাটে-বলে, দুটিতেই পাকিস্তানকে হাবুডুবু খাওয়ায় তারা। পাহাড় সমান রান তারা করতে নেমে রীতিমতো তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় পাকিস্তান। ৩৬০ রানে ম্যাচ পকেটে তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে ম্যাচ চলাকালীন মাঠে ঘটে একটি মন ছুয়ে নেওয়ার মতো ঘটনা এবং একই সঙ্গে একটি হাস্যকর দৃশ্যও। চতুর্থ ইনিংস চলাকালীন অজি তারকা স্টিভ স্মিথ মাঠে পড়ে থাকা নোংরা কাগজ পকেটে নিয়ে ওশেষে হাত তুলে উদযাপন করেন। স্মিথের এই কীর্তির প্রশংসা করেছেন বহু ক্রিকেটপ্রেমী।
পারথে চতুর্থ দিনে মাঠে নামে দুই দল। কিছুক্ষণ ব্যাট করার পর ডিক্লেয়ার দিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার উসমান খোয়াজার আউট হওয়ার পরেই দলকে ডেকে নেন প্যাট কামিন্স। তাঁর এবং মিচেল মার্শের একটি বড় পার্টনারশি🎃পের উপর ভর করে পাকিস্তানের সামনে পাহাড় সমান লক্ষ রাখতে সফল হয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর রান তাড়া করতে নেমে চোখের নিমেষে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে একেবারেই দাঁড়াতে পারেনি শান মাসুদ ও তাঁর বাহিনী।
এদিন ৫০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন নাথান লিয়ন। তবে মাঠে একটি মন ছুয়ে নেওয়ার মতো কাজ করলেন স্টিভ স্মিথ। একইসাথে একটি মজাদারও বটে। মাঠে পড়ে থাকা একটি নোংরা কাগজ তুলতে রীত🍰িমতো হিমশিম খাচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। অবশেষে তা তুলে বাইরে ফেলে দিলেন স্মিথ এবং হাত তুললেন উদযাপন করতে। আর সেই মুহূর্তের ভিডিয়োটি বহু ব্যবহারকারী শেয়ার করেন নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে। এরপর পড়তে থাকে বহু মজাদার কমেন্ট। তবে অনেকে করেছে প্রশংসাও।
উল্লেখ্য, চতুর্থ দিনে দুই উইকেটে ৮৪ রান নিয়ে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার দেন পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানে। পাকিস্তানের সামনের লক্ষ্য রাখেন ৪৫০ রানের। সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন ওপেনার উসমান খোয়াজা এবং মিচেল মার্শ করেন ৬৩। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন শাহজাদ এবং একটি করে উইকেট নেন𒈔 আমির জামাল ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৩১ ওভার শেষ হওয়ার আগেই ৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকি🅘স্তান। সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন সৌদ শাকিল। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও জোশ হেজেলউড। এছাড়া দুটি উইকেট তোলেন নেথান লিয়ন এবং একটি উইকেট পান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ম্যাচের সেরা হন মিচেল মার্শ।