বোলিং কোচ পরশ মামব্রে বিশ্বকাপে ভারতের ষষ্ঠ টানা জয়ের পর স্বীকার করে নিয়েছেন যে, পেসার মহম্মদ শামির মতো ফর্মে থাকা খেলোয়াড়দের বাদ দেওয়া টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য ‘কঠিন’ ꧃সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু ভেন্যু এবং প♊রিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। মামব্রে আরও বলেছেন যে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০০ রানের জয়ের পর ভারত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বক্সে টিক দিয়েছে।
বোলিং কোচের দাবি, ‘কিছু মোমেন্টাম বহন করাটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি খেলায় আপনাকে কোনও না কোনও বক্সে টিক চিহ্ন দিতেই হবে। এটি একটি চ্যালেঞ্জিং খেলাꦰ ছিল। আমাদের এই ম্যাচে জয়টা দরকার ছিল। আমরা চলতি ♏বিশ্বকাপে এই প্রথম শুরুতে ব্যাট করেলাম। এবং কঠিন পরিস্থিতিতে একটি ছোট লক্ষ্য ডিফেন্ড করেছি। শিশির ছিল... অনেক কিছুই আমাদের বিপক্ষে ছিল। আমরা যে ভাবে ফিরে এসে লড়াই করেছি, তা অবিশ্বাস্য ছিল। প্রতিটি খেলাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: কপিল যেটা করত, ঠিক🅰 সেটাই করছে শামি- তারকা পেসারের সাফল্যের🗹 রহস্য ফাঁস করলেন গাভাসকর
তিনি যোগ কর♏েছেন, ‘মিডল অর্ডারেরও পরীক্ষার দরকার ছিল। এটি একটি সুযোগ ছিল কিন্তু পরিস্থিতি কঠিন ছিল। বল ব্যাটে আসছিল না, টার্ন করছিল। তবে এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে আমাদের এখনও উন্নতি করতে হবে। এবং আমরা এখান থেকে শিখব এবং সেগুলি সম্পর্কে কথা বলব এবং সেগুলিতে কাজ করব।’
হার্দিক পান্ডিয়া চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পর দলে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হ🐼য়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। শামি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ধর্মশালায় চলতি বিশ্ব♛কাপের প্রথম ম্যাচ খেলেন। সেই ম্যাচে ৪৫ রান দিয়ে তিনি ৫ উইকেট তুলে নেন। এবং তার পরে রবিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২২ রানে ৪ উইকেট নেন।
মামব্🔯রে বলেন, ‘ম্যানেজমেন্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা হল, উইকেট বুঝে দল নির্বাচন করা হবে। যে উইকেটে যেটা সঠিক সমন্বয় হবে, সেই দল খেলানো হবে। আগেও অ্যাশ (অশ্বিন) মিস করেছিল, শামি মিস করেছিল। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন। কিন্তু দলের স্বার্থে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই নিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথাও বলা হয়… সেই অনুযায়ী 𝄹তাদের জানানো হয়। ও (শামি) সেটা জানে।’
প্রথম চার ম্যাচে দলের বাইরে। তার পর দলে ফিরেই দুই ম্যাচে ৯ উইকেট শামির। একেবারে রূপকথ💛ার প্রত্যাবর্তন করেন মহম্মদ শামি। নিউজিল্যান্ডের পর ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপকেও একা হাতে শেষ করে দিয়েছেন বাংলা টিমের তারকা পেসার। রবিবারের ম্যাচে ভারতীয় হিসাবে ওয়ানডে ক্রিকেটে নজিরের মালিক হয়েছেন শামি। ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি বার চার উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন শামি। বিশ্ব ক্রিকেটে শামির সঙ্গে যুগ্ম ভাবে সর্বোচ্চ বার চার উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রয়েছে মিচেল স্টার্কের। মোট ছয় বার করে চার উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে শামি এবং স্টার্কের।