ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদীর 'সাম্প্রদায়িক মন্তব্য' নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হল না নির্বাচন কমিশন। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার রাজস্থানে ভোটের প্রচারের সময় যে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মো▨দী, সেটার প্রেক্ষিতে লাগাতার প্রশ্নের জবাবে কমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, 'আমরা কোনও মন্তব্য করার (আর্জি) প্রত্যাখ্যান করছি।' তারইমধ্যে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর থাকার সময় সেই ‘সাম্প্রদায়িক মন্তব্য’ করায় মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনে যায় কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে নিশানা করে 'বিদ্বেষপরায়ণ' মন্তব্য করার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন দল। সেইসঙ্গে কংগ্রেস দাবি করেছে যে মোদীর এরকম 'বিদ্বেষপরায়ণ মন্তব্য'-র পরও যদি কমিশন কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে কমিশনের উপর কালো দাগের ছিটে পড়ে যাবে।
মোদীর কোনও মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস?
রবিবার রাজস্থানে নির্বাচনী জনসভা থেকে মোদী বলেন, 'যখন ওদের (কংগ্রেস) সরকার ছিল, তখন ওরা বলেছিল যে সবার আগে দেশের সম্পত্তির উপর অধিকার আছে 🦂মুসলমানদের। এটার অর্থ হল যে এসব সম্পত্তি একত্রিত করে কাদের মধ্যে বণ্টন করবে? যাঁদের বেশি সংখ্যক সন্তান আছে, তাঁদের দেবে। অনুপ্রবেশকারীদের দেবে। পরিশ্রম করে আপনার কামানো টাকা কি অনুপ্রবেশকারীদের দেওয়া উচিত?'
তিনি আরও বলেন, ‘এটা কংগ্রেসের ইস্তাহারে বলা হচ্ছে। ওরা মা-বোনেদের সোনার হিসাব করবে, সেটা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে, তারপর ওই সম্পত্তি বণ্টন করে দেবে। আর তাঁদের দেবে, যাঁদের (নিয়ে) মনমোহন সিংয়ের সরকার বলেছিল যে সম্পত্তির উপর সবার প্রথ🌼ম মুসলিমদের অধিকার আছে। আম✨ার মা-বোনেরা, আপনার মঙ্গলসূত্রকেও ছাড়বে না শহুরে নকশালদের ভাবনা। ওরা অতদূর চলে যাবে। আমি বলছি।’
কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া
কংগ্রেসের দাবি, মোদী যে মন্তব্য করেছেন, সেটা পুরোপুরি বিদ্বেষপরায়ণ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের যে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মোদী সেই কথা বলেছেন, সেখানে প্রসঙ্গটাই আলাদা ছিল। ভারতের সার্বিক উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন মনমোহন। সেইসঙ্গে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি, সংখ্যালঘু, মহিলা এবং শিশুদের ক্ষমতায়নের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু মোদী সেই কথাটা ঘুরিয়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িক রং চড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোꦿগ করেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি।