পাঁচ বছর আগে ওয়াইএসআরসিপি-র কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল টিডিপি ।আর এ♋বার টিডিপির ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল ওয়াইএসআরসিপি। চন্দ্রবাবু নাইডুর দল একাই যে সংখ্যক আসন জিতেছে তার ধারে কাছেও নেই জগন মোহন রেড্ডির দল। লোকসভা এবং বিধানসভা, অন্ধ্রপ্রদেশে উভয় নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে ওয়াইএসআরসিপি। কোনও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি, অসংখ্য কল্যাণমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন তা সত্ত্বেও এমন পরাজয় বিশ্বাসই ক♛রতে পারছেন না বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি।
আরও পড়ুন: অন্ধ্রে সরকার গঠন করতে চলেছে চন্দ্রবাবু নাইডুর TDP, চলছে বিজয়োল্লা🐻স
অন্ধ্রপ্রদেশ♔ে বিধানসভা নির্বাচনে ১৭৫ টির মধ্যে টিডিপি একাই ১৩৫টি আসন পেয়েছে। জনসেনা ২১টি আসনে জিতেছে, বিজেপি ৮টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। অন্যদিকে ওয়াইএসআর কংগ্রেস একধাক্কায় নেমে ১১ আসনে জয়ী হয়েছে। যার মধ্যে পুলিভেন্ডুলা বিধানসভা আসন থেকে ৬১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন জগন রেড্ডি। তিনি জনগণের সেবা করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত দিয়েছেন। টিডিপি প্রধান এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর হাতে পরাজয় মেনে নিয়ে তিনি বলেছেন, যে তাঁর দল এখন ‘কণ্ঠহীনের কণ্ঠস♕্বর’ হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত। সরকারে আসা দলগুলিকে শুভকামনা রইল। আমরা জনগণের রায়কে সম্মান করি। আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি ꦇসমাজের পিছিয়ে মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করবে।’
২০১৯ সালের বিধানসভা নির𒀰্বাচনে রেড্ডির দল পেয়েছিল ১৫১টি আসন। তাঁর দল ভোট পেয়েছিল ৫০ শতাংশ। এছাড়া সেবার ২৩ টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার দলটি লোকসভায় মাত্র ৪ টি আসন পেয়েছে। মাত্র ৫ বছরে কেন এরকম দশা হল তা নিয়ে বিভিন্ন কারণ জানাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিশ🌸েষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে অন্যতম কারণ হল বেকারত্ব। ‘পিরিয়োডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’ (পিএলএফএস)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ꦐবেকারত্বের নিরিখে তৃতীয় স্থানে ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ। রেড্ডির সরকার বিভিন্ন জন কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করলেও বেকারত্ব সমস্যার সমাধানে বিশেষ নজর দেয়নি। যা রাজ্যের যুব সম্প্রদায়কে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। তার প্রভাব পড়ে ইভিএমে।