কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠন হয়নি। হতে চলেছে এনডিএ সরকার। যার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। আর বাংলাতেও বিজেপি চরম ব্যর্থ হয়েছে। আর এই ফলাফল নিয়ে এখন বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বকে কার্যত তুলোধনা করে চলেছেন😼 বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর জমানায় ১৮টি আসন এসেছিল। কিন্তু তাঁকে🐷 সাইড করতেই তা নেমেছে ১২টিতে। এমনকী তাঁর লোকসভা কেন্দ্র মেদিনীপুর পরিবর্তন করে বর্ধমান–দুর্গাপুরে ঠেলে দেওয়া হয় এবার। সুতরাং অচেনা পিচে জয় অধরা থেকেছে। তাই এবার মেদিনীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতিয়ে রাজ্যে দিলীপ ঘোষকে বিরোধী দলনেতা করতে চায় আরএসএস বলে সূত্রের খবর।
আজ, শুক্রবার দিলীপ ঘোষ ইকোপার্কে এ💧ই ফলাফল নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে আবারও তিনি বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, ‘হারা আসন জেতার জন্য পরিকল্পনা করে সবাই। কেউ জেতা আসন হারার জন্য পরিকল্পনা করে না। এখন তো সেটাই মনে হচ্ছে।’ এখন জুন মালিয়া সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় মেদিনীপুর বিধানসভা আসন থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি বলে জানা যাচ্ছে। তাই সেখানে উপনির্বাচন হবে। তখন মেদিনীপুরে লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করে জিতিয়ে এনে বিরোধী দলনেতা করতে চাইছে আরএসএসের পশ্চিমবঙ্গ শাখা। দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে বাংলায় এই পথই খোলা আছে বলে মনে করছে আরএসএস।
আরও পড়ুন: লোকসভার নেতা করতে দাবি উঠেছে তৃণমূল ༒কংগ্রেসে, অভিষেকের লক্ষ্য সংগঠন
আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে খড়গপুর বিধানসভা থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন। আর বিধানসভা ভবনে পা রেখে পরিষদীয় রাজনীতিতে কাজ দেখিয়ে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাই এখন এটাই করতে চাইছে আরএসএস বলে সূত্রের খবর। আর এটা যদি হয় তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর ডানা ছাঁটা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ আরএসএস করতেন। সেখান থেকেই বিজেপিতে আসেন দিলীপ। রাজ্য সভাপতি হয়ে সফল হন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচন তাঁর নেতৃত্বেই লড়েছিল বিজেপি। ফলাফলও সফল। তাই এবার দিলীপ ঘোষকে বিরোধী দলনেতা করার প্রস্তাব ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লিতে জানিয়ে দিয়েছে আরএসএস। এম♚নকী আরএসএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার রাজ্যের ৩৪টি আসনে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের টিকিট পাইয়ে দেন শুভেন্দু। আর সেই ৩৪ জনের মধ্যে মাত্র সাতজন জিতেছেন। বাকিরা হেরেছেন বলে সূত্রের খবর।