মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ বিগত কয়েক বছরে খুবই জটিল হয়ে গিয়েছে। শিবসেনা ভেঙে দুই দলে পরিণত হয়েছে। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিরও ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে। এই আবহে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি বিজেপির সঙ্গে জোট সরকারে আছে। তবে এবার লোকসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই জোট সমীকরণের কঠিন অঙ্কের সামনে পড়েছে বিজেপি। রাজ্য সরকার গঠনের সময় নিজেরা মুখ্যমন্ত্রীর গদি নেয়নি বিজেপি। তবে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের অধিকাংশ আসনে লড়তা চায় তারা। আবার লোকসভা নির্বাচনের পরপরই সেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। এই আবহে জোট টিকিয়ে রাখতে লোকসভার আসন বণ্টনের বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই আবহে গতরাতে দীর্ঘক্ষণ আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা হল তিন পক্ষের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিল্লির বাসভবনে এই বৈঠক হয়। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। রাত ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বৈঠক শেষ করে দুই বেরিয়ে আসেন শাহের বাসভবন থেকে। তবে আসন বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। (আরও পড়ুন: মাঠে মারা গেল মোদী-নবীন ব্রোম্যান্স? BJP-BJD জোট আলোচনায় জল ꦐঢাললেন জগন্নাথ!)
আরও পড়ুন: সম্পর্ক না জুড়লেও 'বন্ধুত্ব'🅰 থাকুকཧ, অন্ধ্রে TDP-র সঙ্গে যেন 'সিচুয়েশনশিপে' BJP
এর আগে গত বুধবার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক বসেছিল। সেখানে ছিলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস, রাজ্য বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়াঙ্কুলে, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এবং বর্তমান মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত প♕াটিল এবং মুম্বই বিজেপির সভাপতি আশীস শেলার। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে কথা হয় রাজ্যের এই শীর্ষ নেতাদের। এদিকে এনসিপির বর্ষীয়ান নেতা ছগন ভুজবাল দাবি করেছেন, শিবসেনার সমসংখ্যক আসন তাদের দিতে হবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা আসনের 🤡মধ্যে ৩৪ থেকে ৩৭টি আসনে নিজেরাই লড়তে চাইছে বিজেপি। এর আগে ২০১৯ সালে যখন উদ্ধবের শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে বি🐷জেপি লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিল, তখন গেরুয়া শিবির জিতেছিল ২৩টি আসনে। আর শিবসেনার ঝুলিতে গিয়েছিল ১৮টি আসন। এরপর শিন্ডে শিবসেনা দল ভেঙে বিজেপির সঙ্গে যোগ দেন। সেই ভাঙনের পর এখন শিন্ডের সঙ্গে আছেন ১৩ জন সাংসদ। এই আবহে শিবসেনা চাইছে, তাদের অন্তত ১৩টি আসন ছাড়া হোক। তবে বিজেপি হয়ত তত সংখ্যক আসন শিন্ডের সেনাকে দেবে না।