𒐪 কৃষক আন্দোলন নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বহুদিন ধরেই বিতর্কে রয়েছেন অভিনেত্রী, বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত। সম্প্রতি কৃষক আন্দোলন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন কঙ্গনা। যে কারণে বৃহস্পতিবার কঙ্গনাকে ডেকে ধমকও দিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। তবে এসবের মাঝেই কঙ্গনাকে নিয়ে বেফাঁস পঞ্জাবের প্রাক্তন সাংসদ, আকালি দলের নেতা সিমরনজিৎ সিং মান।
꧒কঙ্গনা সাক্ষাৎকারে বলেন, এদেশে কৃষক আন্দোলন যেদিকে গড়াচ্ছিল, তাতে ভারতের অবস্থাও বাংলাদেশের মতো হয়ে যেতে পারত। তবে কেন্দ্র বুদ্ধ করে পদক্ষেপ করছে। শুধু তাই নয়, কঙ্গনা বলেন, ‘কৃষক আন্দোলনের মাঝেও অনেক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, লাশ ঝুলেছে।’
🍸আর কঙ্গনার এই মন্তব্যের বিরোধিতা করতে গিয়েই এবার পঞ্জাবের প্রাক্তন সাংসদ, আকালি দলের নেতা সিমরনজিৎ সিং মান বেফাঁস কথা বলে বসলেন। সিমরনজিৎ সিং মান বলেন, ‘ধর্ষণ কীভাবে হয়, সেটার ব্যাখ্যা তাহলে কঙ্গনাই দিক। আমি এটা বলতে চাই না। তবে ওঁর যদি এটা নিয়ে খুব বেশি অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে উনি সেটার ব্যাখ্যা দিন, যে এটা কীভাবে হয়! তাহলে মানুষ বিষয়টা বুঝতে পারবেন। আপনারা যেমন সাইকেল চালালে সেটার অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। ওনারও হয়ত সেভাবেই ধর্ষণের অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
💙 বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই বিস্ফেরক মন্তব্য করে বসেন আকালি দলের বর্ষীয়ান এই নেতা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
💙প্রসঙ্গত, কৃষক আন্দোলন নিয়ে সাংসদ হওয়ার আগে থেকেই বহু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। যেকারণে সাংসদ হওয়ার ঠিক পরপরই কঙ্গনাকে BSF-এর এক মহিলা কনস্টেবলের হাতে চড় খেতে হয়। কারণ ওই মহিলা কনস্টেবলের মাও কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ꦿআর এবার কৃষক আন্দোলনের সময়ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, লাশ পড়েছে বলে শোরগোল ফেলে দেন কঙ্গনা। যদিও বিজেপির তরফে সাফ জানানো হয়। এধরনের মন্তব্য দল সমর্থন করে না, এটা কঙ্গনার নিজস্ব ভাবনা চিন্তা। এমনকি কঙ্গনাকেও এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কথা না বলার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। আর ঠিক তখনই ফের একবার কঙ্গনাকে নিশানা করলেন বিরোধী আকালি দল।