করোনায় ত্রস্ত গোটা দেশ। গত বছর থেকেই দেশ তথা রাজ্যজুড়ে চলছে কখনো লকডাউন আবার কখনো আংশিক লকডাউন। বাড়িতে আটকে সকলে। এই পরিস্থিতিতে ঘর থেকে না বেরোতে পারছে না খুদে মেঘন। শ্য♑ুটিং বন্ধ, পড়াশুনোও বাড়িতে বসে, বাইরে খেলা বেরিয়ে খেলাধুলোও করতে পারছে না সে। গত বছর করোনাকে প্রথম দেখে ভয়ঙ্কর দুষ্টু রাক্ষয় মনে হয়েছিল তাঁর।
তাঁর ভয় এবং করোনাকে কাছ থেকে দেখার অনুভূতি ২০২১ সালে। যখন মেঘানের বাবা করোনা আক্রান্ত হয়। বাবা যে 🍷মেঘনের সব থেকে কাছের বন্ধু। সেই বাড়িতে নেই। হাসপাতালে ভরতি। তাই মেঘনের দাদার মন খারাপ আর বাবাকে নিয়ে হাসপাতালের মায়ের ব্যস্ততা তাঁর মনকে যেন আরো ভারী করে তুলেছিল।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মেঘনের বাবা তথা সবথেকে ভাল বন্ধু হাসপাতালে ভরতি হতেই চারিপাশটা ফাঁকা লাগতে শুরু করে পুচকে মেঘনের। সর্বক্ষণ নাকি সে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করত, তাঁর বাবা যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। ক্যালকাটা গার্লস স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত🐈্রী সে। বাড়িরও সব থেকে ছোট সদস্য। অনলাইনে ক্লাস, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প নয় এসব বড্ড একঘেয়ে লাগতে শুরু ক♛রে তাঁর।
মেঘানের কথায়, ‘খেলাধুলোও বন্ধ। মাঠে যাওয়া নেই। মা যেন বাড়িতে থেকেও নেই। তার থেকেও বড় কথা, শ্যুটিংয়েও যাওয়া নেই।𒐪 আমার তাই সময় কাটত না, মনখারাপও কমত না’। এভাবে ১৫ দিন কেটে যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে✨ আসে মেঘনের বাবা। বাড়িতে সেদিন খুশির হাওয়া।
এখন ছোট্ট মেঘনের একটাই মনের হচ্ছে, ‘ঠাকুরকে বললে পৃথিবীর ওপর থেকে করোনা সরিয়ে দিতে পারে না? আবার আগের মতো খেলব সবাই। বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেব। কত দিন ফুচকা খাইনি। বাবা বাড়ি ফিরতেই 🅺বলে রেখেছি, বিরিয়ানি, চাউমিন, পিৎজা— সব খাব এক এক করে’।
তাঁর বাবা এখন পুরোপꦆুরি সুস্থ। ফুসফুসে ফাইব্রোসিসের জন্য সামান্য শ্বাসকষ্ট রয়েছে। তবে আপাতত মেঘন নিজেকে সুস্থ রাখতে মায়ের কথা শুনে সমস্ত বিধি মেনে চলছে। ভিটামিন, প্রোট﷽িন, গরম জল-ও খাচ্ছে সে। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার করছে। ঘর থেকে একদমই বাইরে বেরোচ্ছে না সে।
তবে খুদে মেঘন কিন্তু প্রশ্ন করেছে, 'এই ভাবে আমরা সবাই চললে পারব করোনা রাক্ষসটাকে হারিয়ে দিতে?' এখন ‘ফেলনা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছে মেঘন। এই সময় মেঘনের সব থেকে বেশি মনে পড়ছে বন্ধুꦐদের সঙ্গে হুটোপাটি করার দিনগুলোর কথা..