ছাত্র আন্দোলন নিয়ে রবিবার অবধিও বাংলাদেশের পাশেই ছিল প্রায় গোটা দুনিয়া। তবে সোমবারই বদলে যায় পরিস্থিতি। পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এই মুহূর্তে অস্থির বাংলাদেশের ছবিই উঠে আসছে। তবে আবার ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের বর্তমান লড়াকু প্রজন্মকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সেদেশের বহু তারকা। অনেকেই তাঁদের দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হওয়ার খুশিতে উচ্ছ্বসিত। সেই তালিকায় রয়েছেন সেদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিশা। এই মুহূর্তে নিজের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর ভাবনা Hindustan Times Bangla-ಌর কাছে তুলে ধরলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিন♒েত্রী নুসরত ইমরোজ তিশা।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঠিক কী বলছেন তিশা?
তিশার কথায়, ‘দেখুন, আপনারা সবাই জানেন যে আমরা একটা অন্যরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দেশে একটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। আর গণঅᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚভ্যুত্থানের পর সরকার প্রধান এভাবে দেশ ছেড়ে চলে গেছে। ফলে একটা রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক শূন্যতা দেখা দিয়েছে। আমি আশা করি, দ্রুতই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে প্রফেস🍎র মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে। আমি খুবই আনন্দিত যে উনি দায়িত্ব গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছেন, কারণ দেশে এবং বিদেশে উনি সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি।’
তিশা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস যে এই সরকার গঠন হওয়া মাত্রই দ্রুত আমাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং আমরা যে রাষ্ট্র সংস্কার বা রিফর্মের কথা উঠছে, সেই রিফর্মের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো। তবে পাশাপাশি উল্লেখ করতে চাই এই ধরনের গণঅভ্যুত্থানের পর সরকার প্রধান যখন পালিয়ে যায় তখন মানুষ উল্লাস করে, উৎসব করে কারণ ৪০০ প্রাণের ব🎃িনিময়ে এটা এসেছে। উল্লাস, উৎসব তো হবেই। কিন্তু উৎসবের ফাঁকে কিছু মানুষ আবার ঘাপটি মেরে থাকে সুযোগের সন্ধানে, অপকর্ম করার জন্য। সেরকম কিছু কাজকর্ম হয়েছে কিছু কিছু জায়গায়। তবে আমি আশার দিকটাই দেখতে চাই।’
তিশা আরও বলেন, ‘ছাত্ররা আন্দোলন করে সারাদেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। অনেক মানুষ রুখেও দাঁড়াচ্ছেন। একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আমি বহু ছবি দেখেছি যেখানে সাধারণ ছাত্র, মাদ্রাসার ছাত্র সবাই এক হয়ে হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে। আমি মনে ক🔯রি এটাই নতুন বাংলাদেশের আশার জায়গা।’
আরও পড়ুন-স্বৈরাচারী কন্যার জন্যই বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙা হয়েছে, ধিক্কার জানাই, আর বল🅘তে চাই…: বাঁধন
প্রসঙ্গত, তিশার ফেসবু🌄ক পোস্টেও উঠে এসেছে সাম্প্রদায়িক সম✱্প্রীতির বার্তা। তিশা সেখানেও লিখেছেন, ‘কোন ধ্বংসের জবাব ধ্বংস হতে পারে না, এই নতুন স্বাধীন দেশে সবাইকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করার জন্য অনুরোধ জানাই। হিন্দু, মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান সবাই মিলে দেশটাকে নতুন করে সাজানোটাই এখন আমাদের প্রধান দায়িত্ব। যারা রক্ত দিয়েছে তারা শান্তির জন্য রক্ত দিয়েছে, তাদের এই ত্যাগকে বৃথা যেতে দিবেন না।’
এদিকে জানা যাচ্ছে, শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ পরিচালনার জন্য গঠিত হতে চলেছে অন্তর্বর্ত𒁃ীকালীন সরকার। যার প্রধান উপদেষ্টা হি😼সেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।