নব্বইয়ের দশকে বলিউডে একের পর এক ছবিতে কাজ করেছেন। সলমন থেকে শাহরুখ, আমির- বলিউডের প্রথম সারির সব নায়কদের সঙ্গে কাজ করেছ🧸েন মনীষা কৈরালা। সফল অভিনেত্রী, একের পর এক ভাল চরিত্র দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। অনেক স্বপ্নই পূরণ হয়েছে তাঁর, তবে জীবনে একট🤡া আক্ষেপ আজও তাড়া করে বেড়ায় মনীষাকে। মা ডাক শোনা হল না তাঁর।
মা না হতে পারার কঠিন সত্যটা মেনে নিয়েছেন মনীষা
নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ায় ‘হীরামন্ড🍸ি: দ্য ডায়মন্ড বাজার’-এর সঙ্গে দীর্ঘ সময় পর লাইমল🐭াইটে মনীষা কৈরালা। বনশালির এই সিরিজে গ্রে শেডের মায়ের চরিত্রে দর্শক দেখেছে তাঁকে। পর্দায় মাতৃত্বের অনুভূতি ফুটিয়ে তুললেও বাস্তবে সেই সুযোগ আসেনি, তবে ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর এই বিষয়টির সঙ্গে সমঝোতা করে নিয়েছেন মনীষা। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনীষা জানান, ওভারিয়ান ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর কঠিন সত্যটা মেনে নিয়েছেন তিনি।
মনীষা বলেন, ‘আমার জীবনে কোথাও না কোথাও অসমাপ্ত ঘটনা পড়ে আছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনি আপনার বাস্তবতা গ্রহণ করেন। এমন অনেক স্বপ্ন রয়েছে যা আপনি বুঝতে পারবেন না এবং আপনি সেটির সাথে সমঝোতা করে নেবেন। মাতৃত্ব তার মধ্যে অন্যতম। ডিম্বাশয়ের ক্যানসার হওয়া এবং মা হতে না 💞পারা কঠিন ছিল। কিন্তু আমি সেটা নিয়ে শান্তি স্থাপন করেছি। আর আমি বলেছিলাম যা চলে গেছে তা অতীত, আর আমার যা আছে তা দিয়েই আমা♊র সেরাটা দিতে দাও’।
দত্তক নেওয়া প্রসঙ্গে মনীষা
দত্তক নেওয়ার বিষয়ে কী ভাবনা? মনীষা বলেন, ‘দত্তক নেওয়ার কথা ভেবেছি। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি খুব দ্রুত স্ট্রেস আউট হয়ে যাই, আমি খুব দ্রুত উদ্বেগে ভুগি। তাই অনেক তর্ক-বিতর্কের পর বিষয়টি নিয়ে শান্তি স্থাপন করলাম। যে আমি বরং একজন গ🥃ডমাদার হতে চাই। তাই আমার যা আছে তা নিয়েই আমাকে চলতে হবে। আমার যা আছে তা হলো বৃদ্ধ বাবা-মা, যাদের আমি ভালোবাসি। আমি তাদের চোখের মণি, আমি তাদের মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু, এবং আমি এটি লালন করতে যাচ্ছি। আসলে, আমি এখন প্রায়শই কাঠমান্ডুতে ফিরে যাই এবং তাদের সাথে সময় কাটাই। এবং আমি এটা ভালোবাসি।’
মনীষার ক্যানসারের লড়াই
২০১২ সালে স্টেজ ফোর ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। তিনি নিউইয়র্কে চিকিৎসা নেন এবং ২০১৪ সালে সুস্থ হয়ে ওঠেন। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে নায়িকা জানান, এই সময়ে অনেক কাছের মানুষ তাঁর সঙ্গে ছেড়ে﷽ যান। তিনি বলেন,‘এটা😼 আমার কাছে একটা যাত্রাপথ ছিল। এই সময়টা অনেককিছু শেখার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। আমি সত্যিই বিশ্বাস করতাম যে আমার অনেক বন্ধু আছে। যাঁদের সঙ্গে একসঙ্গে পার্টি করেছি, ঘুরেছি, একসঙ্গে মজা কত করেছি, তাঁরা আমার কষ্টে আমার সঙ্গে থাকবে, এটাই ভেবেছিলাম। তবে তাঁরা ছিল না। মানুষ আসলে কারোর কষ্টের সময় পাশে থাকে না, তখন তাঁকে এক ছেড়ে চলে যায়। মানুষ আসলে কারোর কষ্ট অনুভব করতে চায় না, পালানোর জন্য তখন অজুহাত খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। এটাই আসলে মানুষের স্বভাব। তখন নিজেকে খুব একা মনে হয়েছিল। সেসময় বুঝেছিলাম, এই কঠিব পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র আমার কাছের মানুষ, একান্ত পরিবারের সদস্যরাই শুধু আমাকে ঘিরে রেখেছিলেন।’