পুলিশের 'ওয়ান্টেড'-এর তালিকায় জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি? বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিজেই সেকথা খোলসা করেছেন পঙ্কজ। তাঁর কথায়, পুরো বিষয়টিই অপ্রত্যাশিত ছিল, তবে এটাই ঘটেছিল। তবে এসবই 🉐ঘটেছিল, অভিনেতার কেরিয়ারের শুরুর দিকে।
ঠিক কী বলেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি?
কেরি🅷য়ারের শুরুর দিনের কথা স্মরণ করে পঙ্কজ বলেন, সেসময় এত কাস্টিং এজেন্সি ছিল না, সোশ্যালꦆ মিডিয়ায় ছিল না। তাই কাজ পেতে প্রযোজনা সংস্থার অফিসে, স্টুডিয়ো পাড়ায় ঘুরে বেড়াতে হত অভিনেতাদের। সেখানে রাখা কার্টুন বক্সে ছবি রেখে আসতেন অভিনেতারা। সেই ছবি দেখেই বিভিন্ন চরিত্রের জন্য অভিনেতাদের বেছে নেওয়া হত। আবার ভিড়ের মাঝে বহু লোকজনের ছবি হারিয়েও যেত। তবে কার্টুন বক্সটি পাঠানো হত পরিচালকের সহকারীর কাছে।
পঙ্কজ ত্রিপাঠির কথায়, ‘তখন কোনও সোশ্যাল 🌊মিডিয়✨া ছিল না, ছিল হাতে গোনা কয়েকটি কাস্টিং এজেন্সি। এখন কাস্টিং এজেন্সির সংখ্যা বেড়েছে। আগে, আমাদের শুধু ঘরে ঘরে গিয়ে সেখানে রাখা একটি কার্ডবোর্ডের বাক্সে ছবি রাখতে হত। দিনের শেষে, সেই বাক্সটি উপরের তলায় সহকারীর অফিসে পাঠানো হত। আমিও বহু অফিসে গিয়ে আমার ছবিগুলি কার্টুন বক্সে রেখে এসেছি।'
আরও পড়ুন-‘বহু বছর হল আমার কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে…’ বিচ্ছেদের পর মালাইকার মুখোম😼ুখি হতেই বললেন অর্জুন
সেই প্রসঙ্গ ধরেই পঙ্কজ বলেন, ‘একবার, আমার এক বন্ধু কোনও একটা ক্রাইম শ꧙োতে অভিনয় করেছিলেন। সেখানে একটি পুলিশ স্টেশনের সেটআপ ছিল। ও দেখে সেটে একটা ওয়ান্টেড বোর্ড' ঝুলছে। আমার সেই বন্ধু আমাকে ফোন করে বলল, আরে ওয়ান্টেড বোর্ড মে তেরি ছবি ডাল দি হ্যায়।(আরে আমি ওয়ান্টেড বোর্ডে তের ছবি আটকে দিয়েছি।) আমি বললাম, অ্যায়সে ক্যাসে? (সেটা কীভাবে?) আমার মনে পড়ল আমি আমার অনেক ছবি ওদের অফিসে রেখে এসেছিলাম। তাই, যখন শিল্প 💛বিভাগের যখন ওই ‘ওয়ান্টেড’ বোর্ডের জন্য কোনও চোর বা গ্যাংস্টার ছবির প্রয়োজন হত, ওরা শুধু আমার সেই ছবিগুলি ব্যবহার করত। তাই আমার ছবি পুলিশের ওয়ান্টেড বোর্ডে ঝুলছিল।’
হ্য়াঁ, পঙ্কজ ত্রিপাঠির ছবি পুলিশের ওয়ান্টেড বোর্ডে থাকলেও সেটা আস🐠ল পুলিশ স্টেশন ছিল না, ছিল নকল, শ্যুটিংয়ের জন্য তৈরি সেট।
পঙ্কজ ত্রিপাঠি শোয়ের কথোপকথনে জানান, ‘আধ্যাত্মিকতা, ঈশ্বরে বিশ্বাস তাঁর কেরিয়ারের শুরুর দিতে তাঁকে অনেক সাহায্য করেছিল।’ অভিনেতার কথায়, ‘এই আধ্যাত্মিকতা আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছে যে কারও সঙ্গে অন্যায় করা উচিত নয়। আমি কারও কাছে মিথ্যা বলি না। কারও সঙ্গে আমার কোনও শত্রুত🦂া নেই। আমি সহজেই ক্ষমা করে দিতে পারি। আধ্যাত্মিকতা আমার মধ্যে একটা ধারণ তৈরি করেছে। আগে কাজে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আমি মাঝে মাঝে অপমানিত বোধ করতাম, তবে ইন্ডাস্ট্রিতে কারও প্রতি আমার কোনও ক্ষোভ নেই।’