আজও পথের পাঁচালি নামটা শুনলেই সেই কাশবনের মধ্য দিয়ে অপু দু♒র্গার ট্রেন দেখতে যাওয়ার দৃশ্যই চোখে ভেসে ওঠে। আর সেই দুর্গা এদিন না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন। চলে গেলেন উমা দাশগুপ্ত। পথের পাঁচালির দ♌ুর্গার জীবনাবসান ঘটল ১৮ নভেম্বর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। এদিন থামল সেই লড়াই। উমা দাশগুপ্তর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: কেবল SV☂F সিনেমাতেই ২ কোটির ব্যবসা বহুরূপীর! সঙ্গে আবিরের জন্মদিন, কেক কেটে চল😼ল জোড়া সেলিব্রেশন
আরও পড়ুন: নেলপলিশ দিয়ে চশমা রং করতেন নির্মলা মিশ্র! সারেগামাপায় জোজো বললেন, 'ওঁর লাল রঙের প♛্রতি অবসেশন ছিল'
প্রয়াত উমা দাশগুপ্ত
সোমবার, ১৮ নভেম্বর সকল🗹েই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা গিয়েছে এদিন সকাল ৮টা নাগ💖াদ মৃত্যু হয়েছে তাঁর। উমা দাশগুপ্তর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর পড়শি তথা, অভিনেতা, বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এদিন আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, সকালে উমা দাশগুপ্তর মেয়ের সঙ্গেꦉ দেখা হয় যখন তখন তিনিই জানান যে তাঁর মা আর নেই। অভিনেতার কথায়, 'ওঁর মেয়েই জানালেন উমাদি চলে গিয়েছেন। কয়েক বছর আগে ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর।'
প্রাথমিক ভাবে রোগ ধরা পড়ার পরই চিকিৎসা শুরু হয়। সাড়াও দিচ্ছিলেন চিকিৎসায়। কিন্তু মারণ রোগ নতুন করে ফিরে আসে। ক্যানসারের চিকিৎসার জ🌠ন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে পথের পাঁচালির দুর্গাকে ভর্তি করা হয়েছিল। এদিন সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ছোট থেকেই থিয়েটার করতেন উমা দাশগুপ্ত। তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বন্ধু ছিলেন সত্যজিৎ রায়। তাঁর হাত ধরেই ছবির দুর্গাকে খুঁজে পান মানিক বাবু। তারপরের কথা সকলেরই জানা। যদিও প্রথমে উমা দাশগুপ্তর বাবা চাননি মেয়ে সিনেমা করুক। কিন🎉্তু পরে তিনি সম্মতি জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে হাতে গোনা☂ কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছিলেন উমা দাশগুপ্ত। কিন্তু বাঙালির কাছে তিনি সেই দুর্গা হয়েই থেকে গিয়েছেন বরাবর।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত মাস খানেক আগেই রটে গিয়েছিল যে উমা দাশগুপ্ত নাকি প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তুไ সেই খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো ছিল। তবে মাস কাটতে না কাটতেই সেই গুজব যে এভাবে সত্যি হয়ে যাবে সেটা আর কে জানত! উমা দাশগুপ্তর মৃত্যুতে শো𒅌কের ছায়া টলিউডে।