♊ ফের চর্চায় ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। নিত্যদিনই কোনও না কোনও কারণে খবরের শিরোনামে উঠে আসে রচনার এই শো। এবার রচনার দুয়ারে নাতনিদের নিয়ে হাজির হলেন ঠাকুমারা। এমনই দুই জুটি ছিলেন আভা সাহা-পামেলা সাহা। আবার এই শোয়েই বরের ঠাকুমা কল্যাণী সান্যালকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সহেলী সান্যাল।
পামেলার ঠাকুমা আভা দেবীকে রচনা প্রশ্ন করেন ছোটবেলায় নাতনি কেমন ছিলেন? তখন আভা সাহা বলেন, ‘খুব দুষ্টু ছিল না, তবে মাঝে মাঝে এমন কাণ্ড করত যে ডাক্তারের কাছে নিয়ে 🦋যেতে হত’🐬।
এরপরই পামেলা বললেন, ‘ছোটবেলায় আমার হাত কেটে গেছে কাঁচি ঢুকে। আমার মা বলছে, ও কিছু হয়নি টিটেনাস নিলে ঠিক হয়ে যাবে। এদিকে✱ আমার ঠাকুমার মনে উথাল-পাতাল। নাহ আমার নাতনির কিছু একটা হয়েছে। এরপর দিন যেই সাইন্সের টিজার এসেছে, আমি ওনাকে দাদু বলতাম, তো বললাম, দাদু আমার এই দুটো আঙুল পুরো অবশ। আর তখনই ঠাকুমার মনে শাশুড়ি স☂ত্তা জেগে ওঠে। ঠাকুমা বলল, আমি বলেছিলাম, মেয়েটার কিছু একটা হয়েছে টিটেনাস নিলেই ঠিক হইয়া যাইবো, এটা কী কথা হইল! ওর কিছু একটা হয়েছে, আমি কইতাছি ওর কিছু একটা হইছে!’
এটা শুনে রচনা বললেন, ‘দিদি কি এখনও বাঙাল ভাষায় কথা বলেন?’ তখন ফ🐬ের পামেলা বলে ওঠেন, ‘হ্য়াঁ, আমাদের বাঙাল ভাষাতেই কথা হয়।’
এদিকে দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে বরের ঠাকুমা অর্থাৎ ‘ঠাম্মা-শাশুড়ি’কে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সহেলী সান্যাল। রচনা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘সহেলী তুমি এক বছরে ঠাম্মা শাশুড়িকে নিয়ে কী বুঝলে?’ উত্তরে সহেলী বলেন, ‘আমার ছোটবেলায় 🌼ঠাম্মা মারা যান। আমি এখানে এসে একজন ঠাম্মা পেয়েছি। হয়ত অনেকেই বিশ্বাস করবেন না, বাড়ির মাকেও আমি এতটা মিস করিনি। কারণ, আমি শ্বশুরবাড়িতে এতটাই আদর পাই। ওখানে ওটা হত, এখানে এটা হয়না, সেটা নয়। আমি স্কুল থেকে ফিরি ৪-৪.৩০। ঠাম্মা বসে থাকবে। জানালা দিয়ে দেখবে, তুমি আর কখন আসবে, আমি তো ওয়েট করছি। বসে থাকবে, খাবার বেড়ে দেবে, এ🥃মনকি গরম পর্যন্ত করে দেয়। দুপুরেও তাই, রাতেও তাই। হয়ত কোনও ভাজাভুজি হবে, আমাকে বলে, তুমি চেঞ্জ করে এসো, আমি ততক্ষণ ভেজে নি।’
ঠাম্মা শাশুড়ির সঙ্গে বউমার এমন ভালোবাসার কথা শুনে আপ্লুত হয়ে যান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর কোথায় পাবে না।’ এরপর সহেলী বলেন, ‘আমিও আবদার করি। মুড়ি ঘণ্ট, ফুলকপি দিয়ে মাংস। উনি সেগুলো করে দেন, আবার বাটিতে তুলে আলাদা করে রেখে দেন, যে সহেলী এগুল💝ো খাবে, ও ভালোবাসে।’