বেশ কয়েকদিন আগে আরজি কর কাণ্ডে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নীরবতা নিয়ে খোঁচা দিয়ে পোস্ট করেছিলেন রানা সরকার। ফেসবুকে 'খোকা নিখোঁজ' বলে পোস্টার লাগিয়েছিলেন। তবে এই পরিপ্র💃েক্ষিতে অনির্বাণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য। যদিও নিজের পোস্ꦅটে দেবালয় একবারের জন্যও রানা সরকারের নাম নেননি। তবে এবার পরিচালক দেবলয়ের নামেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রানা।
দেবালয় ভট্টচার্যের নাম না করে রানা সরকার লেখেন, 'নিজের চোখে দেখেছি, মদ্যপ অবস্থায় একজন মহিলার সঙ্গে কীভাবে অশ্লীলতা করার চেষ্টা করছেন। এতদিন কিছু বলিনি, কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মহিলাদের যেভাবে হেনস্থার স্বীকার হতে হয়, তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করা উচিত, জাস্টিস পাওয়া উচিত। একজন সাক্ষী হিসেবে তার বিরুদ𝓡্ধে আইনি অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া শুরু করছি।' এখানেই শেষ নয় নিজের পোস্টে প্রযোজক রানা সরকার দেবালয়ের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে পুরো বিষয়টা জানাবেন। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের এই ফেসবুক পোস্ট ডিলিটও করে দেন রানা সরকার।
তবে অনির্বাণকে নিয়ে রানার নিখোঁজ পোস্টের পর কী এমন লিখেছিলেꦯন দেবলায় ভট্টাচার্য?
দেবালয় লিখেছꦬিলেনᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ, ‘অনির্বাণ ভট্টাচার্য কেন নীরব, তাই নিয়ে দেখছি নানা ক্ষোভ। তিনি একজন শিল্পী। তার কাজ নয় গিয়ে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য রাখা। তার কাজ তার কাজে, নাটক সিনেমাতে তার বক্তব্য রাখা। সেটা না করতে পারলে তাকে দুষতে পারেন। সেলিব্রিটি দিয়ে আন্দোলন হয় না। সর্বপ্রথম এই সবটা থেকে সেলিব্রিটিদের কোট আনকোট নিষিদ্ধ করা উচিত। ফুটেজকামী is the new sexuality (ফুটেজকামী এখন নতুন যৌনতা)।'
দেবালয়ের কথায়, 'আমরা শিল্পী। আমরা আমাদের কাজ কম বেশি করার চেষ্টা করি। হয়তো পারি না। ইতিহাস তার বিধান দেবে। মানুষ প্রতিবাদ করুক। সেলিব্রেটিরা ফানুস। আসিবে যাইবে ফুটেজ পাইবে। নেতা কই? কেন সেলেবদের কথা বﷺলতে দেওয়া হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ একটা পলিটিকাল লড়াই। সেলেবরা বলছে কারণ সুশীল সমাজে কোনও নেতা নেই। বিপক্ষ নেই।’
শেষে মহাত্মাগান্ধী আর ফিয়ারলেস নাদিয়ার উদাহরণ টেনে পরিচালক লেখেন, ‘ব্রিটিশ ভারতের বিরুদ্ধে গান্ধীর কথা শুনতো লোকে ফিয়ারলেন নাদিয়ার বাইট নিত না। নিলে ট্রোল হোতো আমি নিশ্চিত। আমরা বিরোধী বানাতে পারিনি। আমাদের নেতা নেই, মুখপাত্র নেই। আমাদের কণ্ঠস্বর গরু নামক রচনা। এর জন্য আমরা দায়ী। কর্মফল…আর🧸 এর ম🦩ধ্যে কেউ চেগে গিয়ে চিৎকার করল। আসছে বছর আবার হবে। বুঝতে পারেনি। ক্ষমা করে দেবেন তাদের।’ তবে এক্ষেত্রে ‘আমাদের নেতা নেই, মুখপাত্র নেই। আমাদের কণ্ঠস্বর গরু নামক রচনা।’