সামনেই নির্বাচন। আপাতত তাই চর্চায় লোকসভা নির্বাচন। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেইও প্রার্থী হিসাবে সবথেকে বড় চমক ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যদিও জল্পনা ছিলই, অবশেষে জানা যায়, হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে ཧভোটে লড়বেন ‘দিদি নম্বর ১’-এর সঞ্চালিকা।
ইতিমধ্যেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটে লড়া নিয়ে নানা মুনির নানা মত উঠে এসেছে। কেউ এই সিদ্ধান্তে খুশি, কেউ আবার এই বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এরই মꦰাঝে টিভি৯ বাংলার কাছে বিরোধী দল বিজেপির কর্মী, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেছেন।
ঠিক কী বলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ?
রুদ্রনীল বলেন, ‘রচনা দেবী আমার স🎃িনিয়র কলিগ। তবে তিনি চোর বা চুরিকে সমর্থন করেন বলে তো মনে হয় না! নাহ, আমি কোনওদিনই এই খবর পাইনি যে কোনও চোর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গামছা চুরি করতে এসেছ🔯ে, অথবা তিনি বলছেন, হাই, হ্যালো, ইউ আর অ্যা চোর, হোয়াট অ্যা থ্রিলিং কেস, প্লিজ কাম, হ্য়াভ অ্যা কাপ অফ টি। (হাই, আপনি চোর, দারুণ বিষয়। তাহলে ভিতরে আসুন, এককাপ চা খান।) তিনি চোরের অনুরাগী এটা কখনওই প্রমাণ হয়নি।’
এই পর্যন্ত তো ঠিকই ছিল, এরপরই রুদ্রনীল বলেন, ‘চোখের সামনে মা-বোনেদের সম্ভ্রম যাঁরা চুরি করেছেন, নষ্ট করেছেন, তাঁদেဣর হয়ে তিনি কেন ভোটে দাঁড়াতে গেলেন? সেই ব্যক্তিগত কারণটা, দল আর তিনিই জানেন। যিনি মানুষের দুঃখ, যন্ত্রণায় একটাও কথা বলেননি। কী ভাবছেন হুগলির ভোটাররা এটা বুঝতে পারছেন না? বাংলার নিপীড়িত মা বোনেদের নিয়ে তিনি একটা কথাও বলেননি। অথচ তিনি মহিলাদের নিয়ে শো করেন। সন্দেশখালির দিদিরা কি দিদি নন?’
রুদ্রনীলের কথায়, সেলেবদের একটা ফেস ভ্যালু তো আছেই, তবে প্রার্থী নির্বাচনের সময় এটা ভাবা উচিত, সেই তারকা সমাজ নিয়ে আদৌ সচেতন কিনা! অথচ এক্ষেত্রে দলের কী অভিমুখ সেটাও দেখতে হবে? জিতলেন একজন, এলাকা ছেড়ে দিলেন আরেকজনের হাতে, সেটাও হতে পারে। যেমন বসিরহাট নুসরতের বদলে চলে গিয়েছিল শেখ শাহজাহানের হাতে। যাদবপুর মিমির বদলে চলে গিয়েছ♐িল আরাবুলের হাতে। রুদ্রনীলের কথায়, দেখে আসুন হুগꦑলিতেও হয়ত তেমনই কোনও ক্রিমিনাল তৈরি হয়ে গিয়েছে। রুদ্রনীলের কটাক্ষ, ‘জেতার পর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলবেন, আপনি দিদি নম্বর ওয়ান কেন, দিদি নম্বর ১০০, দিদি নম্বর ১১১ করুন, বাকিটা আমরা সামলে নেব।’
রুদ্রনীলের কটাক্ষ,♏ মুখ্য়মন্ত্রীই তো বলেছিলেন, ‘আমাদের একটা অনুব্রত গেলে কী হবে, আরও অনেক অনুব্রত রয়েছে। আর এবার পুরোটাই মা-বোনেদের সিদ্ধান্ত। আমার মনে হয়, তাঁরা কেউ চোখ বন্ধ করে নেই।’
এদিকে সন্দেশ খালি প্রসঙ্গেই টিভি৯ বাংলাকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নিঃসন্দেহে খারাপ লেগেছে। সবাই জানেন, রচꦡনা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের পাশে থাকেন। আমি বলেছি, আমায় যদি প্রচারে যেতে হয় সব জায়গায় যাব। সেটা সন্দে💛শখালিতে যেতে হলেও যাব। সকলের পাশে দাঁড়াব, সকলের সঙ্গে কথা বলব।’