শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ব꧑র্তমানে বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁকে নাগ অশ্বিনের সদ্য মুক্তি পাওয়া সায়েন্স ফিকশন ছবি কল্কি ২৮৯৮ এডি ছবিতে মুখ্য খলনায়কের চরিত্༺রে দেখা গিয়েছে। সেই চরিত্রের হাত ধরে তুমুল প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। এবার মুখ খুললেন বাংলা ছবি নিয়ে।
আরও পড়ুন: আম্বানিদের বিয়েতে এসে 'গো-মাতা'র সেবা শ্রেয়ার! আদর করে নিজ🌃ের হাতে খাইয়ে দিলেন ২ বাছুরকে
বাংলা ছবিতে সাহিত্য নির্ভর কাজ না হওয়া নিয়ে কী বললেন শাশ্বত?
বাংলাদেশের একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জানান বর্তমানে অবাঙালি প্রযোজকদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় আর তেমন ভাবে⛎ সাহিত্য নির্ভর ছবি হচ্ছে না, ফেলুদা ব্যোমকেশ ছাড়া। তিনি গোটা বিষয়টা ব্যাখ্যা করে বলেন, 'সত্যি বলতে একটা নতুন গল্প ভাবতে যে সময়টা লাগে সেই সময়টা কারও হাতে নেই। কেন নেই জানি না। হয়তো টাকাটা কমতে কমতে এমন একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে কোনও লেখকের পক্ষে ভাবতে সেই সময়টা বা পরিশ্রমটা করা যাচ্ছে না। আগে শুনতাম স্ক্রিপ্ট লিখতে ৩ মাস সময় লাগছে, এখন সময়টা নেই। একদিকে থেকে প্রযোজকরা সেফ হবে যে আমার কাছে এটা প্রতিষ্ঠিত, ব্যোমকেশ, ফেলুদা, এখন আর শবরের গল্প নেই তাই বাদ। ওঁরা জানেন যে এগুলো পরিচিত লেখকদের লেখা, মানে ৫০ শতাংশ তাঁরা নিশ্চিত ব্যবসা নিয়ে বাকি ৫০ শতাংশ আমাদের উপর। এই সেফ খেলাটা চলছে। দর্শক এডি হল কমেছে তাই একটা ছবির পিছনে বেশি টাকা খরচ করা যাচ্ছে না।'
এরপর শাশ্বত আরও বলেন, ' তখনকার বাংলা ছবির প্রযোজকরা বাঙালি ছিলেন। এখন আমি কাকে বোঝাব যে🎃 আশাপূর্ণা দেবী কে? সে কী বুঝবে? বাংলার ইমোশন বোঝাতে পারব? সে রাজ🥃ি হবে কেন? ছুঁড়ে ফেলে দেবে।' শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় যে এই বক্তব্যে কাদের ইঙ্গিত করেছেন সেটা যদিও কারও বুঝতে বাকি নেই!
আরও পড়ুন: 'ভালো বা খারাপ হয়, কিন্তু...' আবারও কি নবনীতার কাছে ফিরবেন কখনও জিতু? কী জানা✤লেন?
প্রসঙ্গত শাশ্ব꧑ত চট্টোপাধ্যায়কে সম্প্রতি মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির রিসেপশনে দেখা গিয়েছিল।