তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই থাকে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। থাকবে নাই বা কেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এক পেশার মানুষ। তাঁদের ডিভোর্সের খবর বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। এক ছাদের তলায় না থাকবার খবর মেনে নিয়েও এখনও ডিভোর্সের খবরে শিলমোহর দেননি দুজনেই। তাই সম্পর্কের তার জোড়া আছে নাকি ছিঁড়েছে এটা শুধু সুবান আর তিয়াসাই জানেন।এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একদম ভয়ঙ্কর লুকে ধরা দিলেন সুবান। সেখানে দেখা যাচ্ছে ছেঁড়া, মলিন পোশাকে রাস্তার ধারের বেঞ্চে বসে রয়েছেন সুবান। গা-হাত-পা নোংরা, দাঁত ভাঙা। দেখতেই শিউরে উঠতে হয়। ব্যাপারটা কী? বিষয়টা জানতে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা যোগাযোগ করেছিল সুবানের সঙ্গে। মুঠোফোনের ওপার থেকে অভিনেতা বললেন, ‘সম্পর্কের শিকে ছিঁড়তেই সুবানকে খুঁজে পাওয়া গেল নেপালগঞ্জের এক রাস্তায়, মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায়। (অল্প থেমে) তবে এটা কিন্তু সিরিয়ালে। আমার নতুন চরিত্র, দেবী’র রাজু’। হ্যাঁ, সান বাংলার জনপ্রিয় মেগায় এবার এন্ট্রি নিলেন সুবান।কেমন চরিত্র এটি? অভিনেতা জানান, ‘বদ্ধ উন্মাদ রাজু, কারুর কথা শুনছে না সে। কিন্তু ব্যতিক্রম ভাইয়ের বউ। সেই তাঁকে খুঁজে বের করেছে। শব্দ শুনলেই খেপে যায় রাজু। কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না। ভাইয়ের বউয়ের চেষ্টায় অনেক কষ্টে নিজের বাড়িতে ফিরতে পেরেছে’। কেমনভাবে এই চরিত্রের জন্য নিজেকে তৈরি করলেন সুবান? অভিনেতা জানালেন, ‘রাস্তায় যে সব পাগলদের আমরা দেখি তাঁরা নিজেরাই বিড়বিড় করে কথা বলেন। ওঁদের হাবভাব খেয়াল করতাম। অভিনেতারা সবসময়ই আশেপাশের মানুষজনকে পর্যবেক্ষণ করে, এটাই আমাদের কাজ। এছাড়া আমার পরিবারে এক জন স্কিৎজোফ্রেনিক রোগী ছিলেন। ওঁকে দেখে অনেক সময়েই মনে হত, এই ধরনের ধূসর চরিত্র যদি করতে পারি! সেটাই এ বার সুযোগ পেলাম’। সুবানের সাক্ষাত্কারে তিয়াশার প্রসঙ্গ উঠবে না তাও কী হয়! খুব শীঘ্রই নতুন ভূমিকায় পর্দায় ফিরছেন তিয়াশাও। তবে নন-ফিকশন। ‘রান্নাঘর’-এর বিশেষ পর্ব সঞ্চালনা করবেন তিয়াশা। সেই নিয়ে কী বলবেন সুবান? ‘তিন বছর ধরে কৃষ্ণকলিতে শ্যামার ভূমিকা পালন করল। এবার নিজের ভূমিকাতেও দর্শকদের সামনে আসবে। এটা বেশ ভালো। ওর নতুন ইনিংসের জন্য অনেক শুভেচ্ছা জানাব’। এই মুহূর্তে সুবান-তিয়াশার রিলেশনশিপ স্টেটাস কী? এই নিয়ে এখনও খোলসা করে কিছুই বলতে চান না অভিনেতা। শুধু বললেন, ‘বিছিন্ন নয়, যেমন ছিলাম তেমন আছি। নিজেদের মতো করে জীবন কাটাচ্ছি’।