❀ আরজি কর হাসপাতালের ৩১ বছরের ডাক্তারের খুন ও ধর্ষণ নিয়ে রীতিমতো উত্তেজনা বাংলাজুড়ে। সকলেই চাইছেন, এবারে অন্তত দোষী সাজা পাক। একই দাবি, তারকাদেরও। রাস্তায় নেমে ক্ষান্ত হননি কেউ, ক্রমাগত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে চলেছেন তাঁরা। ব্যতিক্রমী নন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ও।
𓃲 তবে এবার আর শুভশ্রীর দাবি ‘অরাজনৈতিক’ নয়। কারণ তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দরবারে আবেদন করেছেন। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্টোরিতে শেয়ার করা পোস্টে লেখা রয়েছে, ‘স্বচ্ছ ভারতের চেয়ে আমদের নিরাপদ ভারতের বেশি দরকার মোদীজি।’ যেখানে একটি ফাঁসির দড়ি, বিচারের হাতুড়ি, এবং এক নির্যাতিতার আবয়ব।
আরও পড়ুন: ཧমমতার প্রসঙ্গ উঠতেই এ কী বলে ফেললেন কঙ্গনা! মায়াবতীর কিন্তু প্রশংসাই করলেন
𒊎 যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে শুভশ্রী প্রথম থেকেই স্পিকটি নট। আরজি করের অভ্যন্তরে চলা দুর্নীতি হোক কিংবা শাসক দলের উপর এই কেস ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ, এসবে টু শব্দ করেননি। তাঁর সামাজিক পোস্টে ‘ধর্ষণ’ই বেশি ফোকাস হয়েছে। নেটিজেনদের অনেকেরই জিজ্ঞাসা, এখানেও কি পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা?
আরও পড়ুন: ✅মেয়ের মা হলেন সুশান্ত-প্রাক্তন অঙ্কিতা লোখান্ডে, দেখালেন বাচ্চার মিষ্টি মুখখানা
🌃 নরেন্দ্র মোদীর কাছে ধর্ষণের প্রতিবাদে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট চেয়ে পোস্ট করেছেন শুভশ্রী আগেও। এমনকী, অভিনেতা দেবও সরাসরি মোদী সরকারের কাছে বিল পাশ করানোর দাবি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও সেই একই সুর শোনা গিয়েছে। এখন সেখানে প্রশ্ন উঠছে, আরজি করের নির্যাতিতা কি শুধুই কিছু পুরুষের যৌন লালসার কাছে হেরে গিযে প্রাণ হারিয়েছে? কারণ সিবিআইয়ের তদন্তে কলকাতার এই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভ্যন্তরের নানা কালো অধ্যায় সামনে এসেছে। এবার প্রশ্ন, কিছু হাতে গোনা তারকা বাদে, বাংলার বেশিরভাগ শিল্পী কেন সেই নিয়ে নীরব?
আরও পড়ুন: 🎃রেকর্ড গড়ার পথে ‘স্ত্রী ২’! ১৭ তম দিনে ৪৫৮ কোটি, তৃতীয় শনিবার কত টাকা তুলল ঘরে
𒆙 ১৪ অগস্ট মেয়েদের রাত দখলের রাতে রাস্তায় দেখা গিয়েছিল শুভশ্রীকে। পাশে ছিলেন অরিন্দম শীল। এরপর টলিউডের পক্ষ থেকে যে মিছিলের আয়োজন করা হয়, তাতেও প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। ব্যানার হাতে ক্রমাগত স্লোগান ছিল মুখে, ‘সিনেমা পাড়ার একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর।’ এই মিছিলে ছিলেন রাজ চক্রবর্তীও। তাঁদের পক্ষ থেকে বাবলি সিনেমার (যার পরিচালক রাজ, অভিনয় করেছেন শুভশ্রী-আবির) প্রচারও বন্ধ রাখা হয়েছিল। এমনকী, প্রিমিয়ারও হয়নি। বড় লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে এই সিনেমাকে। একই অবস্থা ১৫ অগস্ট মুক্তি পাওয়া আরও এক বাংলা সিনেমা, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পদাতিকের।