ꦐ২০২২ সালে বিজয়া সম্মেলনীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ছুঁয়ে প্রণাম করার জন্য কতই না কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে। এমনকে ‘মমতার চটি চাটা’ বলে আক্রমণও করেন নেট-নাগরিকরা। আর এবার একই চিত্র সায়নী ঘোষকে জয়ের শুভেচ্ছা জানানোতে।
মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের ফলাফল সামনে এসেছে। যাদবপুর লোকসভা ꦡকেন্দ্র থেকে বর মার্জিনে জয় হয়েছে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ানো সায়নী ঘোষের। আর সায়নীকে শুভেচ্ছা জানাতে একটি পোস্ট শেয়ার করলেন শুভশ্রী। সেই ছবিতে দেখা গেল সায়নীকে চুমু খাচ্ছেন তিনি। আর ক্যাপশনে লেখা, ‘শুভেচ্ছা সায়নী ঘ♚োষ’।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্য▨ে অপহরণ আয়ুষ্মান খুরানার! সিনেমার সেট থেকে তুলে নিয়ে গেল লাল ভ্যান
স্বস্তিকার এই শুভেচ্ছাবার্তা মন ছুঁয়ে নিল সায়নীর। তিনি কমেন্টে লিখলেন, ‘অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। এই পোস্ট মহামূল্যবান’। তবে সায়নীর কাছে স্বস্তিকার পোস্ট ভালোবাসা পেলেও, নেটিজেনদের কাছে হল ট্রোলের শিকার। একজন লিখলেন, ‘চটি চাটা দিদি আবার এসে🔥 গিয়েছে’। দ্বিতীয়জন লিখলেন, ‘মুখে বড় বড় কথা! স্বস্তিকার মুখ ফুটে মানতে লজ্জা হয় তিনি তৃণমূলের সমর্থক’।
২০২২ সালে বিজয়া সম্মিলনীতে ভাগ নিয়েছিলেন স্ব♍স্তিকা প্রথমবার। তারপর সামাজিক মাধ্যমে কিছু ছবি শেয়ার করেন। যাতে ছিল মমতাকে প্রণাম জানানোর একটি ছবিও। আর ক্যাপশনে লিকেছিলেন, ‘অনেক বছর পর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হল গতকাল কার্নিভালে। কী দারুণ একটা ইভেন্টের আয়োজন করেছিলেন তিনি। খুব ভালো কাজ করেছে কলকাতা পুলিশও। আমি সবসময়ই প্রশংসা করে এসেছি দিদির লড়াকু ক্ষমতা আর মনোবলের। ওঁকে শুভবিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে চকোলেট উপহার পেলাম (হার্ট ইন আই ইমোজি)। ধন্যবাদ রাজ ছবিগুলি তুলে দেওয়ার জন্য, এগুলো ভীষণ মিষ্টি। দক্ষিণপাড়ার পুজোউৎসব কমিট𒐪ির সঙ্গে ওখানে থাকাটা খুব মজাদার হল। আসছে বছর আবার হবে।’
আরও পড়ুন: সিঁথিতে জ্বলজ্বলে সিঁদুর! শ্ꩲযুট নয়, আদৃতকে ছাড়া কোথায় গেলেন নতুন বউ কৌশাম্বি
এরপর সব ধরনের কটাক্ষে জবাব দিয়ে স্বস্তিকা লিখেছিলেন, ‘চকোলেট নিয়েছি ইলেকশন টিকিট নয়, চকোলে🔥ট খেয়েছি মোটা টাকার ঘুষ নয়। আমরা একটা সভ্য দেশে বাস করি, বর্বর নই। কাল দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলেও একই ভাবে নমস্কার করব কারণ সেটাই ঠিক। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিত্বকে আমি শ্রদ্ধা করি। তার মানে রাজনৈতিক মতবিরোধিতার সঙ্গে আপস করা নয়। যেটা অন্যায় তা নিয়ে নিশ্চয়ই বলব। কিন্তু পৃথিবীর সমস্ত বিষয় নিয়ে আমায় জেহাদ ঘোষণা করতেই হবে নাহলেই আমার মেরুদণ্ড ধসে পড়বে এমন কোনও দাসখত আমি লিখিনি। আর আমার ধ্যান ধারণা বিবেক বিচার আপনাদের কথায় ওঠানামা করে না। পরে আবার কোনো অনুষ্ঠানে যদি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হয় আমি আবারও ওনাকে নমস্কার জানাব এবং উনি চকলেট দিলে নেব এবং খাব। অসভ্য হওয়ার জন্য যে শিরদাঁড়াহীনতা লাগে সেটাও আমার নেই। তাই বেশ করেছি...। ’