চাইলেই আর আইসিইউ (ICU) নয়। হাসপাতালও রোগীকে আইসিইউ-তে ট্রাꦆন্সফার করতে পারবে না। এমনটাই নিয়ম জারি করল কেন্দ্র। ঠিক কোন কোন পরিস্থিতিতে আইসিইউ-তে রোগীকে রাখা যাবে, তা বলে দেওয়া হল। সম্প্রতি ২৪ জন চিকিৎসকের একটি কমিটি গড়া হয়। সেখানেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন 𝔍বা নির্দেশিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রের ওই কমিটি। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে আইসিইউ (intensive care unit)-এর নিয়মকানুন। রোগীকে কখন আইসিইউ-তে রাখা যাবে না, তাও ওই নির্দেশিকা থেকে একেবারেই স্পষ্ট। ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ-এর বেড সংখ্যা সীমিত। তাই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে খবর।
(আরও পড়ুন: এক মাসেই কমবে ৫ কেজি! ৫ টিপস মেনে চলুন রোꦕজ, হাতেনাতে ফল পাবেন ৩০ দিনও পর)
নির্দেশিকায় রোগীর বেশ কিছু পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একমাত্র সেই পরিস্থিতিতেই রোগীকে 🔯আইসিইউ-তে রাখা যাবে। যেমন, কোনও রোগীর রেসপিরেটরি সাপোর্ট অর্থাৎ শ্বাসজনিত সাপোর্ট লাগলে তাকে আইসিইউ-তে রাখা যাবে। অন্যদিকে, ইনটেনসিভ কেয়ারের জরুরি এমন কোনও গুরুতর রোগ (🔯সিভিয়ার অ্যাকিউট ইলনেস) হলে রোগীকে আইসিইউ-তে রাখা যাবে। এছাড়াও, অস্ত্রোপচারের পর রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে বা অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর কোনও বড় সমস্যা হলে তাকে আইসিইউ-তে ট্রান্সফার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
(আরও পড়ুন: মাঝে মাঝেই পায়ে ঝিনঝিন ধরে? এটি একটি বড় রোগের লক্ষণও হতে পারে, কী কর𓆉বেন)
- কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা
আইসিইউ সংক্রান্ত নির্দেশিকার নেপথ্যে থাকা অন্যতম চিকিৎসক আর ক👍ে মনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভারতে আইসিইউ বেডের সংখ্যা একেবারেই সীমিত। তাই যে রোগীর দরকার, সে-ই যেন আইসিইউ পায়। কেন্দ্রের নির্দেশিকা নিয়ম মেনে সেটাই নিশ্চিত করতে চায়। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান কলেজ অব ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিনের সেক্রেটারি চিকিৎসক সুমিত রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বেশিরভাগ দেশেই আইসিইউ নিয়ে নির্দিষ্ট প্রোটোকল রয়েছে। আইসিইউ যাতে লাগামছাড়া ব্যবহার না করা হয়, তার জন্যই এই নিয়ম। এমনিতে আইসিইউ-এর ধারণা অনেকটাই বড়ো। তাই কখন রোগীকে আইসিইউ-তে দিতে হবে, তা রোগীর চিকিৎসকের বিচক্ষণতার উপর নির্ভর করছে।