হিন্দু ধর্মে গরুকে 'মা'র মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে ৩৩ কোটি দেব-দেবীর বাস গরুর মধ্যেই। এমন পরিস্থিতিতে গরুকে পূজনীয় বলে মনে করা হয় এবং গো-সেবাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উৎসবই হোক না কেন, মাতা গরুর জন্য অবশ্যই একটি ভোজ পরিবেশন করা হয়। একই সাথে, কিছু লোক প্রতিদিন তাদের দরজায় আসা গরুটিকে খাবার না দিয়ে ফেরত পাঠায় না। গরুকে খাওয়ানো নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত পুণ্যের কাজ এবং আপনার অবশ্যই এটি করা উচিত। কিন্তু তার আগে আপনাকে কিছু খাবার সম্পর্কে জানতে হবে যা ভুল করেও গরুকে খাওয়ানো উচিত নয়। শাস্ত্রে এটি কেবল নিষিদ্ধ নয়, এটি গরুর স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো নয়। আজকে এগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
গরুকে পেঁয়াজ এবং রসুন খাওয়াবেন না
গরুকে কখনোই পেঁয়াজ এব🌞ং রসুন খাওয়ানো উচিত নয়। প্রকৃতপক্ষে, এই দুটিই তামসিক খাদ্যের শ্রেণীতে পড়ে, যা শাস্ত্রে নিষিদ্ধ খাদ্য হিসেবে বিবেচিত। এমন পরিস্꧒থিতিতে, ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মা গরুকে পেঁয়াজ এবং রসুন দিয়ে তৈরি জিনিস খাওয়ানো নিষিদ্ধ। যদি আমরা শাস্ত্রের বাইরে তাকাই, তাহলে এই দুটি জিনিসই গরুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এগুলো খেলে গরুর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে।
খুব বেশি মশলাদার খাবার খাওয়াবেন না
গরুকে কখনোই খুব বেশি মরিচ-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। গরুর পক্ষে এই ধরনের খাবার হজম করা খুব কঠিন হতে পারে। এর ফলে গরুর পাচনতন্ত্রে সমস্যা হতে পারে এবং পেট সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যাও তাদের সমস্যায় ফেলতে পারে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও, অতিরিক্ত মরিচ এবং মশলাযুক্ত খাবারকে তামসিক খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন পরিস্থি♈তিতে মা গাভীকে এটি খাওয়ানো নিষিদ্ধ।
গরুকে বাসি এবং নষ্ট খাবার দেবেন না।
অনেক সময় কিছু লোক জেনে বা অজান্তে রাতের অবশিষ্ট বাসি এবং নষ্ট খাবার গরুকে খাওয়ায়। এটা করাও খুবই অন্যায়। আসলে, বাসি এবং নষ্ট খাবার খেলে গরুর স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তাদের পেট সম্পর্কিত কিছু সমস্যাও থাকতে পারে। শাস্ত্র অনুসারে, মা গাভীকে সর্বদা ভালো, সহজে হজমযোগ্য💜 এবং তাজা খাবার খাওয়ানো উচিত। তাদের খারাপ ও বাসি খাবার খাওয়ানো পাপের চেয়ে কম বলে মনে করা হয় না।
ভুল করেও জাঙ্ক বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়াবেন না।
আজকাল, মানুষের বাড়িতে জাঙ্ক ফুড এবং প্রক্রဣিয়াজাত খাবার এত বেশি খাওয়া হয় যে অনেক সময় তা অবশিষ্ট থেকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, অনেকেই তাদের দরজায় আসা গরুকে এই অবশিষ্ট জাঙ্ক ফুড খাওয়ায়। এটা একটা বিরাট ভুল। আসলে এই খাবারগুলি গরুর পাচনতন্ত্রের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাদের গরুর স্বাস্থ্যেরও অবনতি হতে পারেℱ। অতএব, গরুকে তাজা, ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ানো সর্বদা ভালো।
প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং লবণযুক্ত খাবার
গরুকে অতিরিক্ত লবণ এবং চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকা উচিত। আসলে, যেসব খাবারে অতিরিক্ত মিষ্টি এবং লবণাক্ততা থাকে সেগুলো গরুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে বিবেচিত হয় না। যদি একটি গরু প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে চিনি বা𒀰 লবণ খায়, তাহলে তার কিডনির উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, তাদের এই ধর﷽নের খাবার না খাওয়ানোই ভালো।
প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরে ত্রুটি থাকলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।