🀅 নিয়ম বহির্ভূতভাবে পাক সীমান্তের কাছে শিল্পপতি গৌতম আদানিকে জমি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ তৈরির প্রকল্পের জন্য সীমান্তে আদানি গোষ্ঠীকে জমি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সশস্ত্র বাহিনীর উদ্বেগ উপেক্ষা করে কীভাবে সংবেদনশীল জমি আদানিগোষ্ঠীকে দেওয়া হল? তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। ‘প্রিয় বন্ধু’কে মোদী পাকিস্তানের সীমান্তে কৌশলগতভাবে মূল্যবান জমি কি উপহার দিয়েছেন? প্রধানমন্ত্রীকে তার জবাব দিতে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
আরও পড়ুন: 🅠‘তোর বাবা আমার সাথী ছিল... চুপ করে বস!’ রাজ্যসভায় মেজাজ হারিয়ে কাকে ধমক খাড়গের?
🌟বুধবার আদানি গোষ্ঠীকে জমি দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই তীব্র কটাক্ষ করে মল্লিকার্জুন বলেন, ‘বিজেপির ছদ্ম-জাতীয়তাবাদের মুখোশ আবারও উন্মোচিত হল। বেসরকারি কোটিপতিদের সুবিধার্থে আপনারা আমাদের সীমান্তে জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতেও পিছপা হন না।’ তিনি কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেন, যে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এবং বাংলাদেশ, চিন, মায়ানমার এবং নেপাল সংলগ্ন জমিতে নিরাপত্তা বিধি শিথিল করা হয়েছে কিনা। তিনি আরও প্রশ্ন করেন, যদি এই জমিতে মাইন স্থাপন এবং ট্যাঙ্ক-বিরোধী এবং কর্মী বিরোধী ব্যবস্থা স্থাপনের প্রয়োজন হয় তবে কী হবে? ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে কেন একটি বিশাল বেসরকারি প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
ꦉআদানি গোষ্ঠীকে জমি দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে একটি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে। তাতে দাবি করা হয়, গুজরাটের কচ্ছে পাকিস্তান সীমান্ত থেকে এক থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আদানি গোষ্ঠী ৪৪৫ বর্গ কিলোমিটার জমি পেয়েছে। আরও অভিযোগ উঠেছে, আগে সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সোলার এনার্জি কর্পোরেশনকে জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেটি বরাদ্দ করেছিল গুজরাট সরকার। যেহেতু এলাকাটি সংবেদনশীল তাই ওই বরাদ্দের জন্য কিছু নিয়মও বদল করা হয়।
🐎কিন্তু, পরে সোলার এনার্জি কর্পোরেশন গুজরাট সরকারকে জমি ফিরিয়ে দেয়। তাতে অভিযোগ ওঠে যে কেন্দ্রের নির্দেশেই সেই জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, পরে সেই আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এনিয়ে কংগ্রেস বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির পাশাপাশি দলের সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি সীমান্তের নিরাপত্তা বিধি বদলে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।