🍎 অগস্টে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের সময় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের ৮৪৮ জন নেতাকর্মীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামি লিগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করল বিএনপি। শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে মোট ৫০০ জনের নামে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: 🎶কেমন অত্যাচার হত হাসিনা জমানার ‘আয়নাঘরে’? ঘুরে দেখলেন ইউনুস
🎃আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির তরফে ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিউটারের কার্যালয়ে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরের হয়ে এই অভিযোগ জমা করেছেন মহম্মদ সালাউদ্দিন খান পিপিএম। উল্লেখ্য, তিনি জোর করে গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দলের রেকর্ড সমন্বয়ের দায়িত্বে আছেন। অভিযোগে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও নাম রয়েছে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রাক্তন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রাক্তন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, র্যাবের প্রাক্তন মহাপরিচালক এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের।
ꦉঅভিযোগ দায়ের করার পর মহম্মদ সালাউদ্দিন খান পিপিএম সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনে ৫২৪ জন বিএনপি কর্মীসহ মোট ৮৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বাকিরা হলেন কর্মীদের আত্মীয়স্বজন।প্রধান প্রসিকিউটারের কাছে দায়ের করা অভিযোগে বিএনপি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ৫ অগস্ট পর্যন্ত বিএনপি নেতা, কর্মী, সমর্থক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের গুলি করে, নির্যাতন করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটি করে বিএনপিকে ধ্বংস ও নির্মূল করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিএনপি ট্রাইব্যুনালের কাছে অভিযোগগুলি নথিভুক্ত করার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে বিচারের জন্য তদন্ত পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছে।
ಞএছাড়াও, সারা দেশে বিএনপি কর্মীদের হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত এফআইআরগুলির কপি প্রসিকিউটারের অফিসে জমা করেছে বিএনপি।উল্লেখ্য, এর আগে ৯ জানুয়ারি বিএনপি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে একটি পৃথক আবেদন দাখিল করেছিল। সেখানে প্রাক্তন সরকারের বিরুদ্ধে সারা দেশে তাদের ২,২৭৬ জন সদস্যকে হত্যা এবং ১৫৩ জনকে জোর করে নিখোঁজ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই আবেদনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন সরকারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছিল।