দিল্লির বায়ুদূষণ, শুধুমাত্র একটি পরিবেশগত সমস্যা নয়, একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যাই বটে। দিল্লিতে বসবাসꦚকারী মানুষের জীবনকে ২ বছর পর্যন্ত কমিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই ভয়ানক বায়ু দূষণ। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনড꧟েক্স রিপোর্ট বলছে যে দিল্লির বাতাসে উচ্চ মাত্রার ক্ষতিকারক কণা (পিএম২.৫) নিঃশব্দে বাসিন্দাদের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি প্রতিরোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: (Bizarre: মিষ্টি খা🍨ওয়ালে তবেই দাখিল হবে রিপোর্ট, পুলিশের অদ্ভুত দাবি𒅌তে হতচকিত যুবক)
দিল্লির বাসিন্দাদের আয়ু সত্যিই কি ১২ বছর পর্যন্ত কমে যেতে পারে
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনটি দিল্লিবাসীদের জন্য এক🔯টি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। সতর্ক করে দিয়েছ🐭ে যে উচ্চ মাত্রার পিএম২.৫ দূষণের কারণে বাসিন্দাদের গড় আয়ু ১১.৯ বছর পর্যন্ত কমে যেতে পারে। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা নির্ধারিত বায়ুর পর্যাপ্ত গুণমানের আশেপাশেও নেই দিল্লির পরিবেশ। এমনটাই দেখেছে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়।
হু বলে, প্রতি বছর বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে মাত্র ৫ মা𝄹ইক্রোগꩲ্রাম, ক্ষুদ্র কণা (পিএম২.৫) থাকলে, তা নিরাপদ। অথচ ভারতে, সেই সীমা প্রতি ঘনমিটারে ৪০ মাইক্রোগ্রাম বেশি। এই ভয়াবহতার দরুণ, দিল্লির বাসিন্দারা তাঁদের আয়ুর ৮.৫ বছর পর্যন্ত হারাতে পারে। প্রতিদিন দিল্লির বাতাসে শ্বাস নেওয়া নিজেকে ধীরে ধীরে বিষাক্ত গহ্বরে ডুবিয়ে দেওয়ার মতো, কারণ এটি সময়ের সাথে সাথে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
কোনও ইতিবাচক পরিবর্তন কি সম্ভব
তবে, এত গুরুতর দূষণ সমস্যা সত্ত্বেও, আশার আলো দেখা গিয়েছে। ২০২২ সালে, ভারতে বায়ু দূষণ ১৯.৩ শতাংশ কমেছে, যা সারা দেশে মানুষের গড় আয়ুতে প্রায় এক বছর যোগ করেছে। দিল্লির কিছু অংশ সহ উত্তরের সমভূমিতে ক্ষুদ্র কণা দূষণ ১৭.২ শতাংশ কমেছে। যাইহোক, এই ইতিবাচক পরিবর্তন হলেও, দিল্লির মতো শহরে দূষণের মাত্রা এখনও খুব ক্ষতিকারক এবং উন্নতির জন্য আরও পদক্ষ🎃েপের প্রয়োজন।
𝄹 প্রসঙ্গত, এখনও ভারতের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এমন এলাকায় বাস করে যেখানে জাতীয় মানের থেকেও বাতাসের গুণমান খারাপ। দিল্লিতে, সাম্প্রতিক অগ্রগতি সত্ত্বেও, বায়ুর মান এখনও খুব খারাপ। শহরের উচ্চ জনসংখ্যা এবং শিল্প কার্যক্রমের কারণে এই সমস্যাটি আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে।