পুণেতে ভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুদের ওপর এর প্রভাব বেশি। শহরের প্রাইভেট ল্যাবরেটরির তথ্য থেকে জানা গিয়েছে প্রথম সারির ভাইরাসের মধ্যে প্রথমেই নাম আসে এইচথ্রিএনটু ভাইরাসের। যা কিনা এসএআরএস-কভ, এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাসকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর জুড়ে যন্ত্রণা, নাক দিয়ে জল পড়ার মতো বিষয় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। গত দু'মাস ধরে বিভিন্ন হাসপাতালে শিশুরা এই ধরনের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হচ্ছে।আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এখন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস। পুণের প্রায় সব হাসপাতালের বিছানা ভরতি। সাসুন জেনারেল হাসপাতালের মাইক্রোবাইলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ রাজেশ কার্যকার্য বলেন, 'ইনফ্লুএঞ্জা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে। প্রতি বছরই কোনও না কোনও ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রভাব বাড়ে, এ বছর এমনই এক ইনফ্লুয়েঞ্জা হল এইচথ্রিএনটু'। জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে যাঁরা আসছেন, তাঁদের বেশিরভাগই ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসে আক্রান্ত।এনআইভি-এর তথ্য অনুসারে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি হওয়া রোগীদের সংখ্যা ছিল ২,৫২৯। তাঁর মধ্যে ৪২৮ জনেরই ছিল এইচথ্রিএনটু-এর লক্ষণ। পুণেতে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু'মাসে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি।রুবি হল ক্লিনিকের সংক্রামক বিভাগের পরামর্শদাতা ডাক্তার দেবাশিস দেশাই বলেন, 'প্রতিবছর ভাইরাসের স্ট্রেন পরিবর্তন হতে থাকে এই বছর এই নতুন স্ট্রেনের নাম ইনফ্লুএঞ্জা এ, ইনফকুএঞ্জা বি।এইচ৩এন২ ভাইরাস সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসেরই একটি স্ট্রেইন। গত দুই বছর কোভিডের জন্য অনেকে বাইরে কম বেরিয়েছেন। এতেই কমে গিয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তার ফলে সহজেই শরীরে আক্রমণ করছে। নষ্ট করে দিচ্ছে প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে চিকিৎসকদের মতে কোভিডের সময় নেওয়া সতর্কতাগুলি যদি আবার নেওয়া সম্ভব হয় তাহলে এই ভাইরাসের কবল থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।